দুর্যোগ মোকাবেলায় তালগাছ
মানিকগঞ্জ থেকে মো.নজরুল ইসলাম
মানিকগঞ্জ সিংগাইর অঞ্চলের বায়রা ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের সচেতন ও উদ্যমী নারীদের দ্বারা গঠিত আলীনগর নারী উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগিতায় গতকাল আলীনগর মাজেদা আক্তারে বাড়িতে তাল গাছের রোপণ ও তাল গাছের উপকারিতা বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলাসহ নারীর ক্ষমতায়নে তাল ও তাল গাছের উপকারিতা বিয়য়ক মতবিনিময় সভায় সংগঠনের সভাপতি ফুলবানু বেগমের সভাপতিত্বে বারসিক প্রকল্প সহায়ক আছিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় ধারণাপত্র পাঠ করেন বারসিক প্রকল্প সহায়ক রিনা আক্তার। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বায়রা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নাসরিন আক্তার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জয়িতা নারী মাজেদা বেগম, বারসিক কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি মো. হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলে, কথিত আছে তালগাছ এক প্রজন্মে পায় না, দুই প্রজন্ম লাগে। আধুনিকতার এই যুগে তাল গাছের ফল আসতে খুব বেশি সময় লাগে না। ২৫-৩০ বছরের মধ্যেই এখন তালগাছ ফলবান হয়। তালের আটি তথা পুই পারিবারিক ও জাতীয় অর্থনীতির জন্য এখন খুবই লাভবান ফল। অন্যদিকে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে তালের রস, শাস, শাসের রস খুবই আরামদায়ক, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও প্রফুল্লকারক।
তারা জানান, গৃহস্থালি কাজের পাশাপশি একজন নারী বাড়ির উঠানে বা রাস্তার ধারে এই গাছ রোপণ করলে সময়সাপেক্ষ হলেও তিনি এবং তার প্রজন্ম লাভবান হবেন। আবার তাল পাকলে তার গুণ অন্যরকম। তালের পিঠা, হালুয়া অসাধারণ। তালপাতার পাটিকে শীতল পাটি বলা হয়। তাল গাছ বয়স হলে তার কাঠ আসবাবপত্র তৈরিসহ বেশ কাজে লাগে।
আসুন আমরা আমাদের চারিদিক সবুজায়িত তথা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বেশি করে তাল বীজ রোপণ করি।