বিশ্বনাথপুর কৃষাণী সংগঠনের পথচলা

নেত্রকোনা থেকে খাদিজা আক্তার লিটা

ভূমিকা
নেত্রকোনা জেলা আমতলা ইউনিয়নের একটি গ্রাম বিশ্বনাথপুর। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার এক সময় কৃষি উপর নির্ভরশীল ছিল। নিজেদের সীমিত সম্পদ, নিজেদের চাহিদা মত, নিজেদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর গ্রামগুলো সাদামাটা জীবনযাপন করে ভালোই চলছিল। নিজেদের বীজ নিজেরা সংগ্রহ করতো। গ্রামের নারীরা পরম যতেœ বীজ আগলে রাখতো। বীজের উপর কর্তৃত্ব ছিল গ্রামে নারীদের। ফসল রোপণের পূর্বেই নারীরা পরম যতেœ আগলে রাখা বীজ বের করে দেখে নিত বীজের অবস্থা, কোন ধরনের রোদ লাগানোর প্রয়োজন আছে কিনা। প্রয়োজন মত বীজ না থাকলে নিজেদের গ্রামের কারও কাছে বীজ আছে কিনা খুঁজে নিত, চলতো বীজ বিনিময়ও, যা ছিল অলিখিত পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে সরল রূপরেখা। কিন্তু ক্রমেই বিভিন্ন কোম্পানির প্রভাব, ফলন বেশি পাবার আশায় গ্রামের কৃষকরা বাজারের কেনা বীজের উপর নির্ভর হয়ে উঠে। বাজারের বীজ কৃষকদের প্রথম পর্যায়ে ভালো ফলন পাওয়ার স্বপ্নযাত্রা শুরু করলেও ক্রমেই সে স্বপ্নগুলো হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে নানামূখী নতুন, নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয়। বীজ, সার, কীটনাশক সকল কিছু বাজারের আমদানি উপর নির্ভর হওয়া ক্রমেই কৃষকরা হতাশ হতে থাকে। বাজারের সহজে যে বীজ পাওয়া যায় তা দিয়ে ফসল চাষ শুরু হয়। এতে কৃষকরা হারাতে থাকে জাত বৈচিত্র্য, অধিক মাত্রায় সার, বিষ ব্যবহার মাটির উর্বররা শক্তি কমতে থাকে। নিজেস্ব জ্ঞান, নেতৃত্বে দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে কৃষকরা শুধু বাজারের নির্ভর হয়ে পড়ে। কৃষাণীরা ফসলের উৎপাদনে নিজেদের ভূমিকা হারিয়ে ফেলে। সাথে সাথে পরিবারের চাহিদা মতো ফসল চাষ কমে যাওয়ায় ক্রমেই নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ কমতে থাকে। দেখা দেয় পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের সমস্যা। ক্রমেই গ্রামে বৈচিত্র্যময় ফসল চাষ কমতে থাকে ।

যেভাবে গ্রামের কৃষাণীরা নিজেদের সংগঠিত হওয়ার যাত্রা শুরু করে
বিশ্বনাথপুর গ্রামের পাশ্ববর্তী একটি গ্রাম গাছগড়িয়া। গাছগড়িয়া কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে ২০১৮ সালে কৃষক নেতৃত্বে স্থানীয় জাতের ধান জাত গবেষণার মাঠ দিবসে অংশগ্রহণ করে গ্রামের তিনজন কৃষাণী। কৃষক সংগঠনের সাথে স্থানীয় জাতের ধান জাত গবেষণা কাজে সার্বিকভাবে সহযোগি হিসেবে কাজ করছিল বারসিক। মাঠ দিবসে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করার প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে বর্তমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন বারসিক কর্মকর্তাগণ। কৃষির উপর কৃষককের কর্তৃত্বের পাশাপাশি নিজেস্ব চিন্তার কাজে লাগিয়ে সংগঠিতভাবে কৃষি কেন্দ্রিক সসমস্যা সমাধানে কৃষকদের একত্রিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়, যা অংশগ্রহণকারী কৃষাণীদের সংগঠিত হওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। মাঠ দিবসে অংশগ্রহণকারী কৃষাণীরা মাঠ দিবস থেকে আনা স্থানীয় জাতের ধান নিজেদের গ্রামে চাষ করে এবং ফলন ভালো হওয়া গ্রামের কৃষকরা বাজারের বীজের পাশাপাশি স্থানীয় জাত চাষ শুরু করে। মাঠ দিবসে অংশগ্রহণকারী কৃষাণী পারভী বেগম, শারমীন, মর্জিনা বেগমের উদ্যোগে পরবর্তী বছর ২০১৯ সালে গ্রামের ১৫ জন কৃষাণীকে নিয়ে গড়ে তুলেন বিশ্বনাথপুর কৃষাণী সংগঠন। সংগঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামের বৈচিত্র্যময় ফসল চাষের মাধ্যমে স্থানীয় জাত সংরক্ষণ ও বাজার নির্ভরশীলতা কমানো এবং প্রাণবৈচিত্র্য রকক্ষা, জৈব কৃষির চর্চার পাশাপাশি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সু সম্পর্ক স্থাপন ও জেন্ডার বৈষম্যহীন একটি সুন্দর সবুজ গ্রাম তৈরীর লক্ষ্যে কাজ করা।

সংগঠনের বর্তমান কার্যক্রম
সংগঠনের উদ্যোগে প্রতি মাসে একটি করে মিটিং এর আয়োজন করা হয়। কৃষাণী সংগঠনের কৃষি সংক্রান্ত সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে বৈচিত্র্যময় ফসল চাষ, বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিয়ে নিয়মিত আলোচনা ও তথ্য বিনিময় চলে প্রতিটি মিটিং-এ। কৃষাণীরা নিজেদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমাধানে উপায় গুলো খুঁজে বের করে। পারস্পরিক তথ্য বিনিময় কৃষির পাশাপাশি পারিবারিক ছোট ছোট সমস্যা সমাধানে পথ খুঁজে পায় সমমনা কৃষক পরিবারগুলো। তৈরি হয় পারস্পরিক সুসম্পর্কে।

কৃষি তথ্যকেন্দ্র তৈরি
সংগঠন তৈরির পর কৃষাণীরা প্রথম সমস্যা সৃষ্টি হয় মিটিং এ স্থান নিয়ে । মিটিং করা নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময়ে সমস্যা সমাধানে সংগঠনের উদ্যোগে সভা প্রধানের বাড়িতে তৈরি করা হয় কৃষি তথ্যকেন্দ্র। তথ্যকেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে সহায়তা করে বারসিক।

সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানেরস সাথে সংগঠনের সু সম্পর্ক স্থাপন
গ্রামের কৃষাণীদের সাথে নেত্রকোনা সদরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোন ধরনে যোগসুত্র না থাকায় সকল ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল বিশ্বনাথপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক পরিবারগুলো। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর, সমাজ সেবা, মহিলা বিষয় অধিদপ্তর ও সমবায় অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে সংগঠন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা কৃষাণীরা। যোগাযোগ কাজে সার্বিকভাবে সহায়তা করছে বারসিক। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে সু সম্পর্ক স্থাপনের ফলে মৌসুমভিত্তিক বীজ সহায়তা পাচ্ছে কৃষক-কৃষাণীরা। চলতি বছর ভূট্টা, সরিষা, সূর্যমুখি, মসলা চাষে সহায়তা পেয়েছেন। প্রতিবছর ধান, সার সহায়তা পাচ্ছে গ্রামের ১৫ থেকে ২০ জন কৃষক। সবজি চাষে ঋণ সহায়তা পেয়েছে গ্রামের ৫ জন কৃষক। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা প্রাপ্তিতে কাজ করছে সংগঠনের সদস্যরা। সেবা প্রাপ্তির জন্য সেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে থাকে সংগঠন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

দক্ষতা মূলক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা
গ্রামের সমস্যা সমাধানে কৃষি তথ্যকেন্দ্র বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে সংগঠন। যেমন ইঁদুর দমন প্রশিক্ষণ, গবাদি পশুর রোগবালাই, বীজ সংরক্ষণ, জৈব বালাই নাশ তৈরি, স্থানীয় জাতের মাছ চাষ ইত্যাদি প্রশিক্ষণ ও হাতে কলমে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত কেন্দ্রর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। যেখানে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ সার্বিকভাবে সহায়তা করে থাকে। যোগাযোগে সহায়তা কাজ করছে বারসিক।

স্থানীয় জাতের ধান জাত গবেষণা
গ্রামের ফসল বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবছর স্থানীয় জাতের ধানের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে সংগঠন ও পাশ্ববর্তী গাছগড়িয়া যুব সংগঠন যৌথভাবে। গবেষণার কাজে সার্বিকভাবে সহায়তা করে থাকে বারসিক। ধান পছন্দ বপন, ধান কাটার সময় অংশগ্রহণ করে সংগঠনের নারী ও পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। তারা নিজেরা ধান পছন্দ করে পরবর্তী বছর রোপণের জন্য বীজ সংগ্রহ করে রাখে। দীর্ঘ ৩ বছর গবেষণার ফলে গ্রামে পূর্বে তুলনায় ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর বিশ্বনাথপুর , গাছগড়িয়া, পাঁচকাহনীয়, আমতলা গ্রামের কৃষকরা স্থানীয় জাত গাড় আইজং, সুবাশ, কাবন্দুলান,ঋতু পাইজাম, ইয়র ইত্যাদি ধান ২০ জন কৃষক চাষ করছেন।

বৈচিত্র্যময় সবজি চাষ বৃদ্ধি
পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে কৃষাণীরা বৈচিত্র্যময় সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে। চলতি বছর , বর্ষায় পুঁইশাক, কাকরুল, ডাটা, করলা, চিচিংগা, পাট, ধুন্দল ইত্যাদি সবজি চাষ করছে কৃষাণীরা। এর পাশাপাশি চাষ হচ্ছে নানা ধরনের মসলা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া ইত্যাদি এবং গ্রামে বর্ষাকালীন টমেটো চাষ করছে উদ্যোগী যুবরাও।

বীজ সংরক্ষণ ও বিতরণ
সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বীজ সংরক্ষণে আগ্রহ বেড়েছে পূর্বের তুলনায়। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ২ থেকে ৩ ধরনের বীজ সংগ্রহ করে থাকে। গ্রামে বর্তমানে ৩টি বীজ বাড়ি রয়েছে। ৩টি বাড়িতে মৌসুমি সকল ধরনে সবজি বীজ সংগ্রহ করে থাকেন। বীজ বাড়ির কৃষাণীরা নিজেরা বীজ চাষ করে ও বিতরণ করে থাকে । চলতি বছর ৩টি বাড়ি থেকে সিম, কুমড়া, পুঁইশাক, ডাটা, লাউ, পাটশাক, মরিচ, ধনিয়া সরিষা ইত্যাদি বীজ সংগ্রহ করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বিক্রয় ও প্রতিবেশিদের মাঝে বিতরণ করছে। চলতি বছর প্রায় ৪০ জন কৃষাণীর মাাঝে বীজ বিতরণ করেছে কৃষি তথ্যকেন্দ্র থেকে।

জৈব কৃষির চর্চা
কৃষাণীরা নিয়মিত গোবর সংরক্ষণ করে ধান বা অন্যান্য ফসলে দিয়ে থাকেন। গ্রামের ৫টি বাড়িতে ভার্মি কম্পোষ্ট রিং, হাউজের মাধ্যমে কম্পোষ্ট সার তৈরি করে সবজি ক্ষেতে প্রয়োগ করছে। চলতি বছর কৃষি অফিসের সহায়তা ২টি বাড়ি কম্পোষ্ট বাড়ি হিসেবে তৈরী করা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণ
গত বছর সংগঠন ও বারসিক’র উদ্যোগে ১৫জন সদস্যর বাড়িতে নিম ও পেয়ারা ও মেহগনি গাছ রোপন করা হয়। পেয়ারা গাছে ফলন শুরু হয়েছে। সংগঠনে উদ্যোগে গ্রামে মসজিদের রোপণকৃত ফুল ও ফলের মসজিদের পরিবেশ সুন্দর করে তুলেছে। চলতি বছর জলবায়ু পরিবর্তনে ফলে সৃষ্টি প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় গ্রামে সচেতনতা তৈরিতে সংগঠন, যুব সংগঠন ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে গ্রামের রাস্তায় তাল গাছ রোপণ করা হয়েছে ।

প্রাণবৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তায় সংগঠনের উদ্যোগ
সংগঠনের প্রতিটি সদস্যের বাড়িতে হাঁস, মুরগি, গরু পালন করছে। গৃহপালিত পশুর কোন ধরনের রোগে আক্রমণ করলে সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় প্রাণী চিকিৎসা ও প্রয়োজনে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে থাকে সংগঠনের সভা প্রধান পারভিন বেগম। এক সময় গ্রামে প্রাণী চিকিৎসকরা গ্রামে না গেলে বর্তমানে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। এতে গ্রামে প্রাণবৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে।

অচাষকৃত উদ্ভিদ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে সংগঠন
আমাদের দেশে খাদ্য চাহিদা পূরণে অচাষকৃত উদ্ভিদের গুরুত্ব কম নয়। বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অচাষকৃত উদ্ভিদ একটি বিরাট ভূমিকা রেখে থাকে। আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা না ধরনের উদ্ভিদ যা আমাদের পুষ্টি ও নানা ধরনের রোগে কাজে লেগে থাকে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সংগঠনের উদ্যোগ আয়োজন করা হয় অচাষকৃত উদ্ভিদের পাড়া মেলা। যেখানে গ্রামে প্রায় ৬০ ধরনের অচাষকৃত উদ্ভিদ উপস্থাপন করা হয়। গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের অচাষকৃত উদ্ভিদের গুনাগুণ নিয়ে আলোচনা করে। ফলে অনেক অজানা উদ্ভিদের গুনাগুণ সম্পর্কে জানতে পারে মেলায় আসা প্রায় শতাধিক যুবরা ও নারীরা।

নারীর ক্ষমতায়ন
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিবারে প্রতিটি কাজে নারীর ভূমিকা থাকলেও কোন ধরনের আর্থিক মূল্য না থাকায় এখনো নারীর কাজকে আমাদের সমাজে কাজ মনে করা হয় না। সংগঠিত হওয়ার পূর্বে বিশ্বনাথপুর গ্রামের নারীরা কোন ধরনের সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতো না। এমনকি নারীদের সংগঠিত হওয়া বা মিটিং করার কাজে পরিবারের পুরুষদের আগ্রহ ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে পরিবারের পুরুষরা নারীদের সকল কাজে ্এগিয়ে আসছে, যা নারীদের পারিবারিক মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন শক্তিশালী করণে ভূমিকা রাখছে।

happy wheels 2

Comments