পাখি রক্ষায় প্রতিজ্ঞা করলো গাংডুবি গ্রামের তরুণরা
মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
পাখির জন্য খাদ্য সরবরাহ করা এবং পাখিকে মুক্তভাবে চালাচল করার পরিবেশ তৈরিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন মানিকগঞ্জের গাংডুবী গ্রামের যুবকরা। সম্প্রতি অচিন্ত রাজবংশী ও অমিত রায়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে ২৮ জন যুবক ও কিশোর এই প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। তারা গাংডুবী গ্রামের দু’দিকে পাখির বসার জন্য দু’টি বটগাছ রোপণ করবে বলে জানিয়েছে।
যুবকরা এই বর্ষা মৌসুমে সরকারি বন বিভাগ থেকে যে গাছে ফল দেয় এবং ডালপালা বেশি হয় সেই গাছগুলো রোপণ করবে। এই গাছগুলো তারা রাস্তার ধারে, নদীর ধারে এবং যার বাড়িতে খোলা জায়গা রয়েছে সেখানে রোপণ করবে। পাখির অভয়াশ্রম তৈরির এই উদ্যোগের সাথে সাথে তারা প্রতিজ্ঞা করেছে যে, তারা কখনও পাখি মারবে না, কাউকেও শিকার করতে দেবে না। এছাড়া পাখির খাদ্যর জন্য খেঁজুর গাছ, তাল গাছ, গাব গাছ, বন্যা গাছ, রোপণ করবে। এই গাছগুলো যাতে কেউ নষ্ট না করে বা কেটে ফেলে সেজন্য তারা সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি নিয়মিত তদারকি করবে বলে তারা জানায়।
এসব গাছ রোপণ করলে শুধু পাখির উপকার হবে তা নয় বরং মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীরও উপকার হবে বলে তরুণরা জানায়। কারণ এসব গাছে ফল, ফুল, ডালাপালা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বিশেষ উপকারে আসবে। এই প্রসেঙ্গ সুমন কুমার শীল বলেন, “বন্যা গাছের পাতা দিয়ে কলা পাঁকানো যায় এবং ফল দিয়ে ঈদুর দুর করা যায় যা আমন ধান ক্ষেতে ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা পায়। বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় বলেন, “এই অঞ্চলে পাখির পরিচিতি তুলে ধরতে হবে এবং এই পাখিগুলো কিভাবে খাবার সংগ্রহ করে তা ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে যাতে অন্যরা বিশেষ করে অন্য এলাকার তরুণরা জানতে পারে এবং পাখি রক্ষার উদ্যোগ নিতে উদ্বুদ্ধ হয়।”