শ্যামনগরে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে ইউএনও
সাতক্ষীরার উপকূল থেকে গাজী আল ইমরান
লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পগুলো। গতকাল মঙ্গলবার আশ্রয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বুড়িগোয়ালীনি আশ্রয়ন প্রকল্প (ফেইজ-২) সরজমিনে পরিদর্শন শেষে উপজেলার ঘোলা, পানখালি, বিড়ালক্ষী, সৈয়দাল্লিপুর আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে আগত প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন।
বুড়িগোয়ালীনি আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত বাসিন্দাদের আয়োজনে এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিকের সহযোগিতায় মতবিনিময় সভায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহিনুল ইসলামসহ বারসিক পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘আমি আপনাদের ঘর এবং স্যানিটেশন সংষ্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাব, তবে আংশিক হলেও আপনাদের অংশীদার থাকতে হবে। অংশীদারিত্বে কাজ হলে অবশ্যই সেটি টেকসই হবে বলে মনে করি ।‘ বিড়ালক্ষী এবং গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত বাসিন্দারা বলেন, ‘নদীর জোয়ার বৃদ্ধি পেলেই গুচ্ছগ্রাম অর্থাৎ আশ্রয়ন প্রকল্পগুলো নদীর জোয়ারে প্লাবিত হয়। যার কারণে ঘরবাড়ি, সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাসিন্দারা।’
প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পানিতে যাতে গুচ্ছগ্রাম প্লাবিত না হয় সে জন্য বেড়িবাধ উঁচু করা হবে। গুচ্ছগ্রাম এবং বিড়ালক্ষী আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারে নিজ নামে জায়গা এখনো নিবন্ধন না হওয়ার বিষয়ে বলা হলে শ্যামনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আপনাদের যাদের এখনো জায়গা নিজ নামে নিবন্ধন হয়নি তারা অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করবেন, আমি আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রয়ন প্রকল্পের বসতঘর ঘুরে দেখেন এবং বাসিন্দাদের নিকট থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দেন।