বসতবাড়ির সকল জায়গা কাজে লাগাতে চান চরের রাবেয়া
হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ থেকে মুকতার হোসেন
বাড়ির আশেপাশে আনাচে কানাচে, রাস্তার ধারে সবখানেই রয়েছে শাকসবজিতে ভরা। মৌসুমভিত্তিক রয়েছে বাড়ির প্রায়ই সকল ফলদ বৃক্ষ। দেখে মনে হবে চরে রাবেয়ার একটি পুষ্টিবাড়ি। সতেজ আর তরতাজা শাকসবজি দেখে মন জুড়িয়ে যায় পথচারীদের। এসব শাকসবজি চাষ করে রাবেয়ার যেমন প্রয়োজনীয় সবজি পেয়েছেন ঠিক তেমনি উদ্বৃত্তগুলো বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করছেন। এছাড়া তার এ সবজি বাগান তার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে।
বাড়ির প্রতিটি জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে শাকসবজি চাষ করে রাবেয়া সংসারের আয়ে বেশ ভালো ভূমিকা রেখেছেন। তিনি স্বামীর কাজের সহায়তার পাশাপাশি নিজ বাড়ির চারিদিকে খেয়াল রাখেন সবসময়। নিজে চাষাবাদ করে গ্রামের অন্যান্য মানুষকে বীজ সহায়তা, পরামর্শ, তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করে থাকেন।
রাবেয়া পাটগ্রামচর নারী উন্নয়ন সংগঠনের একজন সদস্য। তিনি বলেন, ‘আমাগো বাড়ি চরে। আমরা চরে থাহি, কৃষি কামগাছ নিয়ে আমাগো জীবন চলে। তাই বাড়ির পাশে কোন জায়গা পতিত রাহি না। চাষাবাদ করি কাজে লাগাই। আমার বাড়িতে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ধুন্দল, বেগুন, করল্লা, শিম, মাছআলু, গাছ আলু, আড়ইল সহ রয়েছে নানান পদের সবজি।’ তিনি আরো বলেন, ‘নারী সংগঠনে মাধ্যমে আমরা মাসে মাসে আলোচনায় বসি সবাই মিলে। আমাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেই। যেমন: সরকারি সেবা সহায়তা প্রাপ্তিতে, স্বাস্থ্য সেবা, নারীদের অধিকার, বীজ সংরক্ষণ, জৈব বালাইনাশক তৈরি, দুর্যোগ, বাল্য বিয়েসহ বিভিন্ন আলোচনা করি।’
রাবেয়া বেগম জানান, সংগঠনের মাধ্যমে তারা চরের মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চান। সংগঠনের প্রতিটি বাড়ি একটি কৃষিসমৃদ্ধ বাড়ি করতে চায়। স্থানীয় জাতের ফসল চাষের মাধ্যামে বৈচিত্র্যময় করতে চান চরের প্রাণ-প্রকৃতিকে।