পাখির অভয়াশ্রম তৈরি পাখির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসার প্রাথমিক পদক্ষেপ
সাতক্ষীরা থেকে আসাদুল ইসলাম:
পাখি পোকা মাকড় খায়, ফসল বাঁচায়। বীজদানা খেয়ে নতুন গাছের জন্ম দেয়। একটি এলাকার প্রজাতি পাখির মাধ্যমে পরিভ্রমণ করে পৌঁছে যায় অন্য আর একটি প্রতিবেশে। পাখির ডাকে ভোর হয়। পাখির ডানায় স্বপ্ন উড়ায় মানুষ। “পাখি পরিবেশের বন্ধু। আসুন পাখির বৈচিত্র্য রক্ষা করি। পাখির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা প্রকাশ করি” স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠা ইকো পার্ক এলাকায় এবং সরকারি কর্মকর্তা আকবর হোসেনের নিজ বাড়ির এলাকায় বেসরকারি গবেষনা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সহযোগিতায় পাখির অভয়াশ্রম ঘোষনা করা হয়েছে।
দেবহাটা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, র্যাব হেড কোয়াটারের সিনিয়র সহকারি সচিব ও নিবার্হী ম্যাজিট্রেট মো: আকবর হোসেন, নরসিংদীর বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা উপিস্থিত থেকে উক্ত অভয়াশ্রম ঘোষণা করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খেজুরবাড়িয়া স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহাব্বতুননেছা এলাকার সাধারণ জনগন, তরুণ এবং এলাকার শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য সাঈদুর রহমান জানান, “পাখির প্রতি ভালোবাসা দেখাতে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চাই পাখি তার মত করে ঘুরে বেড়াক। কেউ যেন পাখি নিধন না করে।” তিনি আরো জানান, “আমরা এর আগে সদর উপজেলা ক্যাম্পাসকে পাখি অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছিলাম। এখন এখানে করলাম। ক্রমান্বয়ে এরকম অনেক জায়গায় পাখির অভয়াশ্রম করা হবে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ বলেন, “বনের পাখিকে নিরাপদে বিচরণ করতে দিতে হবে। জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু আইন করে পাখি নিধন সম্ভব নয়। এজন্য সর্বসাধারনের উদ্বুদ্ধ করতে পারলেই পাখি নিধন সম্ভব।
দিন দিন পাখি কমে যাচ্ছে। এখন আর আগের মত পাখি দেখা যায় না। অসংখ্য পাখির জাত থাকলেও অনেক পাখির জাতের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈরী আবাহওয়া, কৃষিতে রাসায়নিক কীটনাশক এর ব্যবহার বৃদ্ধি, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, পাখিদের আবাসস্থল ও খাদ্য সংকট এবং পাখি শিকারীদের আগ্রাসনই আজ পাখি বিলুপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দরকার সচেতনতা। দরকার পাখির প্রতি আমাদের ভলবাসা। আমাদের কারনেই পাখিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পরিবেশের বৈচিত্র্য রক্ষা করতে পাখির প্রতি ভালবাসা দেখাতে হবে।