উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ থাকলে কোন কিছুই আটকে থাকে না
রাজশাহী থেকে মো. শহিদুল ইসলাম
রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের মোহর গ্রামটির তরুণরা অসাধ্যকে সাধ্য করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, কোন কিছুই আটকে থাকে না অর্থের জন্যে। প্রয়োজন শুধু সমন্বিত ভাবনা আর উদ্যোগ। নিজেদের গ্রামকে নিরক্ষরমুক্তকরণের পাশাপাশি নিজেরা গ্রামে বৃক্ষ রোপণ, বাল্যবিবাহ ও মাদকাসক্ত প্রতিরোধসহ সামাজিক নানা কাজে তরুণরা সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছেন।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। সেই কথাটি তারা শুধু ধারণই করেননি , বাস্তবেও তার প্রয়োগ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। নিজেদের গ্রামের ৪টি পাড়াকে ইতোপূর্বেই নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা করেছেন। সেখানে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন। মোহর গ্রামের স্বাপ্নিক তরুণদের দেখাদেখি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে তানোরের গোকুল-মথুরার তরুণরাও এই নিরক্ষরমুক্ত গ্রাম গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। একই সাথে বাল্য বিবাহ, মাদকমুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব সবুজ গ্রাম প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। নানামূখী কাজগুলো করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের সমস্যা পড়তে হয় তাদের। সেই সমস্যাগুলোও তারা সমাধানের উদ্যোগও নেন বিভিন্ন পর্যায়ের সেবাগুলো গ্রহণ করে।
গতকাল রাজশাহীর তানোর উপজেলার মোহর, গোকুল মথুরা, দুবইল গ্রামের তরুণ, তানোর উপজেলা প্রশাসন, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক যৌথভাবে তরুণদের উদ্যোগ নিয়ে সমন্বয় সভার আয়োজন করে। উক্ত সমন্বয় সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা: শওকাত আলী মহোদয়ের পরিচালনায় তরুণরা তাদের কাজের নানান দিকগুলো তুলে ধরেন। তরুণদের উদ্যোগ ও আগ্রহ দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের গ্রামকে নিরক্ষরমুক্ত করতে উপকরণ সহযোগিতাসহ সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি সকল ধরনের কার্যক্রমে তরুণদের এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ থাকলে কোন কিছুই আটকে থাকে না।” তিনি তরুণদের এই স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগগুলোর জন্যে ধন্যবাদ জানান।
বারসিক উক্ত কাজে তরুণদের সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। সভায় বারসিক এবং তরুণদের কার্যক্রম বিষয়ে আলোকপাত করেন বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলাম। উক্ত সভায় বরেন্দ্র অঞ্চলের ধানবৈচিত্র্য এবং তরুণদের করণীয় বিষয়ক দিকগুলো তুলে ধরেন জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত কৃষক মো. ইফসুফ আলী মোল্লা।