তানোরে কৃষকের নবান্ন উৎসব
অসীম কুমার সরকার,তানোর (রাজশাহী) থেকে
‘এসো মিলে সবে লোকজ বাংলার নবান্ন উৎসবে’ এই স্লোগানে রাজশাহীর তানোর দুবইলগ্রামে কৃষকদের ‘বরেন্দ্র বীজব্যাংক’ চত্বরে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেমন্তে নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সারাদেশ থেকে জাতীয় পর্যায়ে কৃষিজীবীরা ওই উৎসবে অংশ নেন। বে-সরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগিতায় সম্প্রতি দিনব্যাপী বরেন্দ্র বীজ ব্যাংক চত্বরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবটি পালন করা হয়। গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী পিঠাপুলি, খেজুর গুড়ের পায়েশ, নতুনচালের ভাত খাওয়াসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত কৃষক-কৃষাণীদের মধ্যে ধানবীজ বিতরণ এবং শ্রেষ্ঠ তিন কৃষককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া বরেন্দ্র বীজ ব্যাংক চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে। কৃষকদের লুপ্তধান ধানচাষ নিয়ে আলোচনা, কবিদের নবান্ন নিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও বাউলগানের মধ্য দিয়ে কৃষকদের মিলন উৎসবে রূপ নেয়।
বরেন্দ্র বীজ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত কৃষক ইউসুফ মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নদী গবেষক মো. মাহাবুব সিদ্দিকী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর হাজী দিনেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মানুনুর রশীদ, বারসিক পরিচালক এবিএম তোহিদুল আলম, জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক নূর মোহাম্মদ, নওগাঁ কেঁচোসার উৎপাদনকারী ও আদর্শ কৃষক মো. নাসির উদ্দীন, সবজি চাষি ও কেঁচোসার উৎপাদনকারী মো. আব্দুল হামিদ, ‘অক্ষর’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি মুকুল কিশোরী, ‘গ্রাম বাংলা’ পত্রিকার সম্পাদক কবি আশরাফুল হক পলাশ, তানোর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার সরকার, ‘প্রান্তর’ পত্রিকার সম্পাদক কবি এমদাদুল হক রেজা, ‘বিলকুমারী’ পত্রিকার সম্পাদক কবি রেজাউল ইসলাম, তরুণ উদ্যোক্তা ও শখ-স্বপ্ন নার্সারির প্রোপাইটার মো. আসলাম আলী, বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি মো. শহিদুল ইসলাম, বারসিক কর্মসূচি কর্মকর্তা অমৃত সরকার, বাউল শিল্পী নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।