নেত্রকোনায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বৈশ্বিক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
জলবায়ু ন্যায্যতা থাকলে দুর্যোগ কমবে, দুর্যোগ কমলে ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত হবে, খাদ্য উৎপাদন হবে, খাদ্যের নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু মাটি, পানি, বায়ু দূষণ বেড়েই চলেছে দিন দিন। ফলে পরিবেশ প্রতিবেশগত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ঘন ঘন সময়ে অসময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কৃষিতে সংকট তৈরি হচ্ছে। ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় সংকট বাড়ছে। খাদ্য উৎপাদন কমছে, মানুষ প্রাণ প্রকৃতির থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে কৃষিপ্রতিবেশব্যবস্থা।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের গ্রামের মানুষ কোনভাবেই দায়ী নয়। এখনও গ্রামের মানুষ নিজের উদ্যোগে গাছ লাগান, সবুজকে রক্ষা করেন, বীজ সংরক্ষণ করেন, ঔষধি গাছ বাঁচিয়ে রাখেন নিজেদের প্রয়োজনে, স্থানীয়জাতের হাঁস মোরগ পালন করেন। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করেন। কিন্তু গত দুযুগ ধরে প্রকৃতির উপর নির্ভর করা কৃষকেরা কৃষিকাজের সময় আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দুর্যোগকে সামাল দিতে পারছেন না। কৃষককে চলতে হচ্ছে দুর্যোগের সাথে তাল মিলিয়ে। এ সমস্যা যেমন আঞ্চলিক তেমনি বৈশ্বিক।


তাই আঞ্চলিক সমস্যাকে সামনে রেখেই নেত্রকোনা অঞ্চলের জলবায়ু অভিঘাতে জর্জরিত কৃষক কৃষাণীরা খাদ্যভূমি ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে নেত্রকোণা জেলার আমতলা ইউনিয়নের বিশ্বনাথ, আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতি ্ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের ও স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রামজীবনপুর গ্রামের কৃষক কৃষাণীরা এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। পদযাত্রা শুরু করেছেন গ্রামে গ্রামে, যা বৈশ্বিক পদযাত্রায় রূপ নেবে। এই গ্রামীণ কৃষকের ফসলের উপর নির্ভর করে টিকে আছে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব। তারপরও কৃষক এখন অনেক অবহেলিত।


পদযাত্রায় নারীরা বলেন, ‘আমাদের বাড়ির আশেপাশে যে সবজি, মসল্লা উৎপাদন করি এগুলো বিষমুক্ত। কোন প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়না। আমাদের নিজস্ব জ্ঞানে, সম্পদে, বীজে আমরা প্রত্যেকেই বাড়ির আঙ্গিনায় পেঁপে, মরিচ, বেগুন, পুইশাক, কলা, আদা, হলুদ গুলো লাগাই। নিজ হাতে শিশুদের জন্য খাবার তৈরি করার চেষ্টা করি। বাজার থেকে সবজি ফল কিনে আনলে সেগুলোতে বিষ, কীটনাশক থাকে। আমাদের ফসলের আমরা ন্যায্য মূল্য পাইনা।’

happy wheels 2

Comments