লকডাউনেও মানিকগঞ্জে মরিচ বিক্রিতে কৃষকের স্বস্তি
ঘিওর মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার: মহামারী করোনা বিশ^ব্যাপী যখন হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তখনও বসে নেই মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কৃষকরা। তাদের নিপুণ হাতে তারা ফলাচ্ছেন নানান ফসল। এবার বুরো মৌসুমে এঅঞ্চলে ব্যাপক ধানের পাশাপাশি মরিচের ব্যাপক ফলনই শুধু হয়নি বরং তারা পাচ্ছেন বেশ ভালো দামও। সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে ঘরে থাকার নিদের্শ দেয়া হচ্ছে ও স্বাস্থ্য বিধি চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এ অবস্থায় কৃষকরা সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের নিত্য দিনের কৃষি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
একদিকে কৃষকের বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে আর অন্য দিকে চলছে কৃষকদের মরিচ তোলা ও বিক্রির কাজ। ঘিওরের এ অঞ্চলে কৃষকরা বৈশাখের শেষে মরিচের ভিতর ছিটিয়ে আমনের জুল দিঘা ধান বুনে দেয়। শ্রাবণ মাসে বর্ষার জল চলে আসে মরিচ গাছ মরে যায়, তখন ধান জলের সাথে সাথে বেড়ে উঠে। এভাবে কৃষকরা জমি থেকে তিন টি ফসল ঘরে তুলে।
মরিচ কেনা বেচার সব থেকে বড় হাট ঢাকা পাটুরিয়া মহাসড়কের সংলগ্ন বরংগাইল হাট। মরিচের মৌসুমেরসময় ৩-৪ হাজার মন মরিচ কেনা বেচা হয়। করোনা সংকটে লকডাউন থাকার কারনে পরিবহন করে মরিচ বরংগাইল হাটে মরিচ নিতে না পারার কারণে কৃষকরা বড় সংকটে পড়ছে। গেচ্ছে। মরিচ পচনশীল হওয়ার কারণে বিপদে আরও বেশি। তাই কৃষকদের অনুরোধে স্থানীয় ভাবে মরিচ বিক্রি ব্যবস্থা যাতে করা যা
কৃষকদের দাবির পেক্ষিতে ঘিওর উপজেলার কেল্লাই বাজারে ব্যবসায়ী হরেন্দ্র মন্ডল ও লুৎফর রহমানের উদ্যোগে আড়ৎ বসানো হয়। করোনার সময় কৃষকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও নিরাপদ দূরত্ব নিয়ে মরিচ কেনা শুরু করেন , ব্যবসায়ীরা এলাকার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য মরিচ বিক্রির জন্য ঢাকা যাওয়া থেকে বিরত রেখে গাড়িতে ঢাকা আড়ৎ এ মরিচ পৌছে দিচ্ছে আড়ৎদাররা আর টাকা ব্যাংকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এভাবেই কৃষকদের মরিচ বেচা কেনা করছে।
গাংডুবী কৃষক সংগঠনের সম্পাদক প্রফুল্ল মন্ডল বলেন, এবার মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। তবে দাম একটু কম থাকলেও কৃষকরা খুশি। তবে বাজার আর একটু ভাল থাকলে কৃষকের হাতে কিছু নগদ টাকা আসবে, যা করোনা পরবর্তী চাষাবাদে রাখতে পারবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
গাংডুবী, ঠাটাংগা, শোলধারা, কেল্লাই, দিয়াইল, কাকজোর গ্রামের মরিচ চাষিরা তাদের কষ্টে উপার্জিত ফসল নিয়মিত বিক্রি করতে পারছে। মরিচ বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা মহাখুশি।