নানা গুণে গুণান্বিত কলার মোচা বা থোড়

আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ থেকে

বাংলাদেশের সর্বত্র কলাগাছ দেখা যায়। কারণ কলা গাছ যে কোনো মাটিতে হয় সহজেই, পরিচর্যা ছাড়াই। কলা প্রকারেও অনেক। রান্না করে খাওয়া যায় যে কলা তাকে কাঁচা কলা বা কাঁচকলা বা আনাজে কলা বলা হয়। বাকি সব কলা পাকলে খাওয়া হয়। যেসব কলা পাকা খাওয়া হয়, সেগুলো হচ্ছে সাগর কলা, সবরি কলা, চম্পা কলা, বিচি কলা, ঠটে কলা বা পূজার কলা, অগ্নিস্বর কলা, বানেশ্বর কলা ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সাগর কলা, সবরি কলা ও চম্পা কলা জনপ্রিয় ও সহজলভ্য। গুণাগুণের দিক থেকে কাঁচা কলা ও পাকা কলার ভিন্ন ভিন্ন গুণ। বাঙালি মাত্রই কাঁচা কলা ব্যবহারের কথা জানেন। ভর্তা, ঝোল, ভাজা, ডালনা, কোপতা, বড়া, চপ নানা প্রকারে কাঁচা কলা খায় বাঙালিরা। কাঁচাকলার খোসা পর্যন্ত ভেজে খাওয়া যায়।

m-gonj
কলার মতোই মোচা ও ভেতরের থোড়ও বেশ উপকারী। আয়ুর্বেদ মতে, কলার মোচায় আয়রন বেশি থাকায় শরীরে রক্ত বাড়ায়। শক্তি বৃদ্ধি করে। কলার মোচা সেদ্ধ করে পেঁয়াজ, লবণ ও সরষে তেল দিয়ে ভর্তা করে খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
শহুরে লোকেরা থোড় খেতে জানে খুব কম। গাঁয়ের লোকদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় ও সুস্বাদু।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশনের অতিরিক্ত মহা সচিব ডা. মো. আবুল হাসান জানান, হজমে, ডায়াবেটিস, পিত্তথলির রোগে কলার মোচা খুবই উপকারী। যাদের নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, তারা কলার মোচা ভর্তা বা ডালনা খেলে উপকার পাবেন। মেয়েদের শ্বেত ও রক্তপ্রদর রোগে বেশ উপকারী কলার মোচা । এছাড়াও পেটের অসুখে মোচার ভর্তা বা ঝোল খেতে পারেন।

happy wheels 2