৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর “বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের” স্বীকৃতিতে দেশব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি
বারসিকনিউজ ডেক্স
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার” এর অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে “বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের” স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জন যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয় ঢাকাসহ সারাদেশে। গত ২৩ নভেম্বর ঢাকায় মানিক মিয়া এভিন্যু থেকে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। বারসিকসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান নানান বাদ্যযন্ত্র, বেনার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকাসহ সুসজ্জিত র্যালি ও শোভাযাত্রা বের করে। এছাড়া বিকেলে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া মন্ত্রী পরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন।
এদিকে রাজশাহীতে পবা উপজেলার বায়া স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা, কুইজ ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিহাস, পরিবশে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূমিকা বিষয়ক নবীন প্রবীণ অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহায়ক ভূমিকায় পবা উপজেলা প্রশাসন ও বারসিক যৌথভাবে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রচনা, কুইজ ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় পবা উপজেলার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রায় তিনশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর পবা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর কবির, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শিরিন মাহবুবা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারসিক’র সহযোগি কর্মসূচি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম শহিদ।
অন্যদিকে মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ৭ই মার্চের ভাষণের উপর রচনা প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, কুইজ, সাধারণ জ্ঞান, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও আনন্দ শোভাযাত্রা। ঘিওর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠ থেকে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া,গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বাজারের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা খন্দকারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওরা ১১ জন চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শন শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।