একটা সুন্দর শৈশব বস্তির শিশুদেরও অধিকার
ঢাকা থেকে ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল: দিনটি ছিলো রোদ ঝলমলে । তাদের বসবাসের জায়গায় এমন আয়োজন এর আগে কেউ করেনি। তাই তারা খুবই উত্তেজিত আর উৎফুল্ল। পাইনিওর হাউজিং যা অনেকে সোনা মিয়ার টেক / বস্তি বলেই চিনে। পাশের বালুর মাঠে মাটিতে মাদুরে বসে রং পেন্সিল দিয়ে আকঁছে ২৫ জন বস্তির শিশু। কেই গ্রামের ছবি আকঁছে কেউবা ঘরের ছবি, কেউ আবার গাড়ীর ছবি- এমনই যেমন যা খুশি আকছে এই বস্তির শিশুরা। আয়োজকরা বলে দিয়েছে কেউ কারোটা দেখে আকঁতে পারবে না, এছাড়া যা খুশি তাই আকঁতে পারো।
মিম (০৮) একেঁছে গ্রামের ছবি। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী আর অনেক সবুজ গাছ। তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কখনো গ্রামে গেছো সে জবাব দিলো না সেই যায়নি। কিন্তু বাবা মা’র কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছে গ্রামে। সেই গ্রামে তারও যেতে মন চায়।
৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মৌমিতা (১০) একেঁছে একটা বাড়ী, সবুজ একটা বাগান আর সেই বাগানের পাশেই একটি মেয়ে খেলছে। সূর্য উকিঁ দিচ্ছে তাদের ঘরের উপর দিয়ে।
গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি এমনটাই ছিল সেই বস্তির পরিবেশ। বারসিকের আয়োজনে প্রতি মাসেই বস্তির শিশুদের পরিবেশ, প্রতিবেশ, স্বাস্থ্য, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সচেতনতার জন্য এ আয়োজন করা হয়।
বারসিকের সহযোগী কর্মসূচী কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাই বস্তির শিশুদেরও একটা সুন্দর শৈশব তৈরি হোক। তারা যেনো একটু সুন্দর আগামীর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।
গতকালের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, সমন্বয়ক মো: জাহাঙ্গীর আলম, সহযোগী সমন্বয়ক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, বস্তিবাসী নেত্রী ঝুমুর বেগম, হোসেন আলী প্রমূখ। চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় ২৫ জন শিশু কিশোর অংশগ্রহণ করে। এসময় তাদের হাতে রং পেন্সিল ও সকলকে পুরস্কার হিসেবে সাবান তুলে দেয়া হয়।