বারসিক মানিকগঞ্জ জেন্ডার সেল গঠন
রাশেদা আক্তার, ঋতু রবিদাস, বিউটি রানী সরকার, শারমিন আক্তার, রিনা আক্তার, আছিয়া আক্তার, সঞ্চিতা কীর্তুনীয়া ও অনন্যা আক্তার
“নারী সহকর্মীদের মর্যাদা রক্ষা”র উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গতকাল বারসিক মানিকগঞ্জ রিসোর্স সেন্টারে জেন্ডার সেল গঠন বিষয়ক নারী সহকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে রাশেদা আক্তারকে আহবায়ক ও বিউটি রানী সরকারকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট বারসিক মানিকগঞ্জ জেন্ডার সেল নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় বলেন, ‘আমাদের জেন্ডার নীতিমালা আছে। একজন কর্মীর কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে তার মর্যাদা বাড়ে। একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র মাস্টার্স কমপ্লিট করলেই তার যোগ্যতা বাড়ে না, যদি না তার কাজের দক্ষতা থাকে।” তিনি আরও বলেন, ‘নারী কর্মী যারা আছেন, তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ান। নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটান। যাতে নিজেদের মনের কথা আদান-প্রদান করতে পারেন।’
বারসিক জেন্ডার নীতিমালার ধারা অনুযায়ী একজন নারী কর্মী সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ অফিসে সন্তান নিয়ে কাজ করার পরিবেশ রয়েছে। এছাড়া যাতায়াত করতে গেলে প্রয়োজনবোধে দুই সিট নিয়ে যাতায়াত করার সুযোগ রয়েছে।
সভায় ঝডঙঞ কে কেন্দ্র করে নারী সহকর্মীদের এক বছরের কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং কমিটির ত্রৈমাসিক সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ত্রৈমাসিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। তাহলো- নারী সহকর্মীদের সবল দিকগুলো আরো বাড়ানোর জন্য জেন্ডার আন্তঃনির্ভরশীলতা আরো ভালোভাবে জানা, দূর্বল দিকগুলো কাটিয়ে উঠার জন্য বেশি করে বই পড়া, সুযোগ সংহত করার মধ্য দিয়ে ভ্রমন বাড়ানো, আড্ডার ছলে গান, গল্প, কবিতা, নিজেদের মধ্যে আন্তঃসর্ম্পক বাড়ানো এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য অভিযোগ বক্স ও নারীবান্ধব প্রক্ষালন কক্ষ (টয়লেট) ব্যবহার উপযোগি করা ।
বারসিক মানিকগঞ্জ অঞ্চলের নারী কর্মীরা মনে করেন, বারসিক মানিকগঞ্জ জেন্ডার সেল গঠনের মাধ্যমে নিজেদের সবলতা বৃদ্ধি করে দূর্বলতা ও ঝুঁকি কাটিয়ে নিজেদেরকে দক্ষ ও মর্যাদা সম্পন্ন কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।