সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে জেন্ডার সচেতনতা সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন
নেত্রকোনা থেকে হেপী রায়
বারসিক’র উদ্যোগ গত ৬ মার্চ নেত্রকোণা রিসোর্স সেন্টারের প্রশিক্ষণ কক্ষে দুইদিন ব্যাপি জেন্ডার সচেতনতা ও বিশ্লেষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় নেত্রকোণা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কর্মএলাকার যুব প্রতিনিধিগণ এই প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণ করেন। উক্ত কর্মশালায় সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বারসিক’র পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস।
কর্মশালায় সহায়ক তাঁর আলোচনায় বলেন, ‘নারীর কাজকে সহজ করার জন্য বাস্তবমূখী জেন্ডার চাহিদা প্রয়োজন। আবার বাস্তবমূখী জেন্ডার চাহিদা পূরণের সামর্থ্যরে উপর নারীর অবস্থা ও কৌশলগত চাহিদার সামর্থ্যরে উপর নারীর অবস্থান নির্ভর করে। নারীর অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য পরিবারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সমাজের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও রাষ্ট্রের পরিকল্পনা/আইন/নীতিমালা ইত্যাদির পরিবর্তন দরকার।’
কর্মশালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারী আন্দোলন ও অগ্রগতি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া কর্মশালার প্রথমদিনে জেন্ডার সমতা, অবস্থা/অবস্থান, সমতা, বৈষম্য, সঞ্চালক ‘সিডও সনদ’ ও এর ধারা, জেন্ডার মূলধারাকরণ, অধিকার, মানবাধিকার, এডভোকেসি, এডভোকেসির ধাপ, উদ্বুদ্ধকরণ ইত্যাদি বিষয় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে সহজভাবে আলোচনা করেন সহায়ক সৈয়দ আলী বিশ্বাস।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে যোগাযোগ ও এর ধরণ, আচরণ, যোগাযোগ প্রক্রিয়ার উপাদান, কার্যকরী যোগাযোগের কৌশল ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। যোগাযোগ প্রক্রিয়ার উপাদান হিসেবে ৭টি দঈ’ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ বিষয়ে সৈয়দ আলী বলেন, ‘কার্যকরী যোগাযোগের বিষয়টি যেন সকলের জন্য স্পষ্ট, বোধগম্য ও সুনির্দিষ্ট হয় সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সম্পূর্ণ যোগাযোগ বার্তা ও নির্ভুল তথ্য মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ চারটি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে যেমন, বাস্তবমূখী ও কৌশলগত জেন্ডার চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বাধা ও বাধা দূরীকরণের উপায়সমূহ, পরিবারে নারী পুরুষের কাজ ইত্যাদি বিষয়ে তাঁদের শিখন ব্রাউন পেপারে উপস্থাপন করেন।
দুইদিন ব্যাপি আলোচনা ও উপস্থাপনের ফাঁকে ফাঁকে অংশগ্রহণকারীগণ কবিতা আবৃত্তি, গান, লোকজ ধাঁধা ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মশালাটি প্রাণবন্ত করে তোলেন।