বাল্য বিবাহ ও মাদক রোধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দালন

সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান

‘বাল্য বিবাহকে না বলি নৈতিকতায় জীবন গড়ি, মাদক কে না বলি ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক চর্চা করি, প্রকৃতি বাঁচলে আমরা বাচঁবো আমার পরিবেশ আমার দায়িত্ব, নিজ দায়িত্বে গাছ লাগাই, প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে পরিবেশ বাঁচাই’ নানা ধরনের স্লোগানের আলোকে সম্প্রতি কালিয়াকৈর খান উচ্চ বিদ্যালয় ও বারসিক’র যৌথ আয়োজনে বাল্য বিবাহ, মাদক, সততার চর্চা ও বৃক্ষ রোপণের গুরুত্ব বিষযে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বক্তৃতামালা ও বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।

IMG_20190619_113701
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. যুবায়ের হোসেন খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য অনুষ্ঠানে রাখেন বলধারা ইউনিয়ন কৃষি উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, সহকারী শিক্ষক মো. দুলাল হোসেন, লোকমান হোসেন, সমাজ উন্নয়ন কর্মী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মো. হাবিল হোসেন, শিক্ষার্থী আফসানা,আক্তার, সুলতানা মুন্নি, নাইম হোসেন, মো. শামীম খান প্রমূখ ।এছাড়া শিক্ষার্থী সামিহা ইসলাম বাল্য বিবাহ, মাদক, সততার চর্চা বিষয়ে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।

IMG_20190619_122314
প্রধান শিক্ষক মোঃ যুবাযের হোসেন খান বলেন, ‘বাল্য বিবাহ ও মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্য বিবাহ ও মাদক রোধে প্রয়োজন সামাজিক আন্দালন। আমরা প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানের উপর নির্ভর করেই আমরা বেচেঁ আছি কিন্তু প্রকৃতির সাথে আমরা বিরুদ্ধ আচারণ করছি। প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও যত্শীনল হয়ে আমাদের প্রত্যেকেই নিয়মিত বৃক্ষ রোপনের অভ্যাস করতে হবে।’ সমাজ উন্নয়ন কর্মী মো. হাবিল হোসেন বলেন, ‘সমাজ ও দেশকে আলোকিত করার জন্য সৎ মেধাবী দক্ষ জনশক্তির প্রযোজন। আর এই জনশক্তির বড় একটি অংশ হচ্ছে যুব সমাজ।’ বিমল রায় বলেন, ‘বাল্য বিবাহ একটি কিশোরী মেয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয় এবং মাদক যুব সমাজকে শক্তি ও কর্মহীন করে তুলে। বাল্য বিবাহ ও মাদকের হাত থেকে সমাজকে রক্ষার করার দায়িত্ব নিতে হবে এই নতুন প্রজন্মকে যারা সমাজ কে আলোকিত করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ সামাজিক সম্পৃৃতি বৃদ্ধি ও সংষ্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে এ ধরনের সামাকি ব্যাধি রোধ করতে হবে।’ বলধারা ইউনিয়ন কৃষি উন্নযন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘১০৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বাল্য বিবাহ রোধের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি। এই নম্বরে ফোন করলে সরাসরি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেখানে সরাসরি পৌছে যাবেন।’

IMG_20190619_120319
শিক্ষার্থী আফসানা আক্তার বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীর মেয়েরাই বেশি বাল্য বিবাহের শিকার হয়। এ সময় তাদেরকে পারিবারিক ভাবে সচেতন করা খুবই জরুরী যেন কোন ক্রমেই তাদের লেখাপড়া বন্ধ না হয়।’ শিক্ষার্থী শামীম হোসেন বলেন, ‘এস, এস সি পাশ করার পর বেশির ভাগ যুবকই নানাবিধ কারণে মাদকের সাথে বেশি জড়িয়ে পড়ে। মাদক রোধে প্রতিটি মাঠে নিয়মিত খেলাধুলার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি।

অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জাম, নারেিকল, বকুল ফুল মেহগনির চারা রোপণ করা হয়।

happy wheels 2

Comments