প্লাস্টিক ও বর্জ্যমুক্ত পরিচ্ছন্ন পদ্মা নদী গড়ে তুলুন
রাজশাহী থেকে মো. শহিদুল ইসলাম
‘প্লাস্টিক ও বর্জ্যমুক্ত পরিচ্ছন্ন পদ্মাপাড়, জীবন্ত নদী তারুণ্যের অঙ্গীকার’ এই শ্লোগানে দুদিন ব্যাপী ‘জীবন্ত সত্তা পদ্মা নদী রক্ষার ডাক বিষয়ক প্রচারাভিযান করেন রাজশাহীর তরুণরা।
আনন্দ আর বিনোদন করতে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আসে পদ্মা পাড়ে। নদীর মুক্ত বাতাস আর ¯িœগ্ধতা নিয়ে ফিরে যায় কিন্তু অনেকে নদীর বুকে অপচনশীল বর্জ্য যেমন প্লাস্টিক, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, কোমল পানীয় বোতল, পিকনিক করতে এসে অপচনশীল ওয়ানটাইম গøাস প্লেটসহ নানা ধরনের বর্জ্য ফেলে চলে যান। এতে করে দূষণ বাড়ে পদ্মা নদীর পাড়ে। এভাবে নদীর তলানীতে এবং পানি বিষাক্ত বর্জ্যরে কারণে নদী যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি নদীতে বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অপরিমেয় ক্ষতি হচ্ছে।
‘শহর আমার, দায়িত্ব আমার’ চলমান গণসচেতনতা প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং রাজশাহীর তরুণ সংগঠন ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস এর আয়োজনে পদ্মা পাড়ে দর্শনার্থীদের জনগণকে সচেতন এবং সতর্ক হবার লক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী (১৬-১৭ জানুয়ারি ২০২০) রাজশাহী মহানগরীর পদ্মা নদীর পাড়, পাঠান পাড়াস্থ লালনশাহ পার্ক এবং এর আশপাশে প্রচারাভিযানের আয়োজন করে।
প্রচারাভিযানে রাজশাহীর শতাধিক তরুণ পদ্মা পাড়ের দর্শনার্থীদের প্লাস্টিক ও বর্জ্যমুক্ত পরিচ্ছন্ন পদ্মাপাড় সৃষ্টিতে মানুষকে সচেতন করেন। একই সাথে পদ্মাপাড়ে তরুণরা পরিচ্ছন্নতার অভিযান করেন। তরুণরা মাইকে সকল দর্শনার্থীকে পদ্মা পাড়ে প্লাস্টিক এবং অপচনশীল বর্জ্য না ফেলতে অনুরোধ করেন। তরুণরা নদী পাড়ে অস্থায়ীভাবে ডাস্টবিন স্থাপন করেন।
প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, ইয়াসের সভাপতি শামীউল আলীম শাওন, সাধারণ সম্পাদিক নাজমুল ইসলাম আকাশ, কোষাধ্যাক্ষ মো. আতিকুর রহমান আতিক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুবাস কুমারসহ বিভিন্ন সংগঠনের তরুণ সদস্যগণ।
ইয়াসের সভাপতি শামীউল আলীম শাওন বলেন, ‘পদ্মাপাড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী আসে কিন্তু তাদের বর্জ্য ফেলার জন্য কোন ডাস্টবিন নেই।’ তিনি দ্রুততার সাথে পদ্মা পাড়ে ডাস্টবিন স্থাপনে দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।