শ্যামনগরে অচাষকৃত উদ্ভিদ খোটা শাকের পাড়া মেলা
রণজিৎ বর্মণ শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) থেকে
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের শংকরকাটি কৃষি নারী সংগঠনের আয়োজনে শংকরকাটি গ্রামে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহায়তায় কৃষাণী নাজমা বেগমের বাড়িতে সম্প্রতি অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ব্যবহার, সম্প্রসারণ এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে এক পাড়া মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী, কৃষক-কৃষাণী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন। মেলায় ২৩ জন গ্রামীণ নারী নিজ এলাকা থেকে সংগৃহীত ১২০ ধরনের অচাষকৃত উদ্ভিদ প্রদর্শনী করেন। প্রদর্শনীতে এ সকল উদ্ভিদের প্রাপ্তিস্থান, গুণাবলী, ব্যবহার, এবং কোন মৌসুমে বেশি পাওয়া যায়, কি দিয়ে রান্না করা হয় এসব বিষয় তুলে ধরেন।
মেলায় অংশগ্রহণকারী তাসলিমা বেগম বলেন, ‘এরকম মেলা আমাদের এলাকায় প্রথম। এ মেলার মাধ্যমে আমরা অনেক উদ্ভিদের গুণাবলি সম্পর্কে জানতে পেরেছি।’ মেলার বিচারক ইউপি সদস্য আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এসকল উদ্ভিদের ব্যবহার হারিয়ে ফেলেছি। আজ আমাদের সেটা আবার এই মেলার মাধ্যমে মনে করিয়ে দিলো।’
মেলায় বিচারকদের বিচারে এককভাবে ৯৫ প্রকার উদ্ভিদ প্রদর্শনী করে প্রথম হন নাজমা বেগম। ৮৫টি উদ্ভিদের প্রদর্শন করে ২য় হন চন্দনা চক্রবর্তী এবং ৭২টি নানান প্রজাতির উদ্ভিদ প্রদর্শন করে ৩য় হন জাহেমা বেগম।
সমাপনীতে মেলায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাখিমারা নারী সংগঠনের সভানেত্রী রাবেয়া বেগম, কাঁঠালবাড়িয়া নারী সংগঠনের আফরোজা বেগম, ইউপি সদস্য আক্তারুল ইসলাম, বারসিকের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মন্ডল, মফিজুর রহমান, বাবলু জোয়ারদার ও বিধান মধুসহ প্রমুখ।