কষ্টের ফল পেয়েছি

কলমাকান্দা থেকে আলপনা নাফাক

কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে বাস করেন জানকি হাজং। কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তিনি সেলাই কাজও করতেন মাঝে মধ্যে। কিন্তু নিজের সেলাই মেশিন, কেচি ছিল না; তাই বটি দিয়ে কাপড় কেটে কোন রকম নিজেরটা সেলাই করতেন।

69668282_427119924595452_7421687471554953216_n (1)
অভারের সংসারে মেশিন কেনা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। মাঝে মধ্যে তার সেলাই দক্ষতার জন্য আশপাশের নারীরা তাদের টুকটাক সেলাই তাঁকে দিয়েই করাতেন। পরিশেষে ২০১৩ সালে বারসিক’র কাছ থেকে একটি সেলাই মেশিন ও কেচি সহযোগিতা পান। এর ফলে তাঁর সেলাইয়ের প্রতি আরো আগ্রহ বেড়ে যায়। গ্রামে নারীরা তার কাছে সেলাইয়ের জন্য কাপড় নিয়ে আসতে শুরু করে। তাদের বাড়ি থেকে বাজার দূরে হওয়ায় অনেক নারী তার কাছেই সেলাই এর কাজ করান। এভাবেই জানকির কাজের দক্ষতাও আরো উন্নতি হতে লাগলো।

69668282_427119924595452_7421687471554953216_n
দিনকে দিন জানকির পরিচিতিও বাড়তে থাকে; বাড়ে তাঁর কাজের ব্যস্ততাও। প্রতিদিনই তিনি সেলাই নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে কোন উৎসবের সময় কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যায় বেশি। তখন রাতেও কাজ করতে হয়। এভাবে রাতদিন পরিশ্রম করে তিনি এখন ঘর তোলার জন্য ২০ শতাংশ জায়গা কিনেছেন। আগে অন্যের জায়গায় থাকতেন এখন তিনি নিজের জমিতে টিনসেট ঘর তৈরি করেছেন।

অকøান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এখন তিনি ভালো থাকার স্বপ্ন দেখছেন। আগে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ফলে অনেক সময় বেকার থাকতে হতো। বেকার থাকার সময় টাকা পয়সা ধার দেনা করে চলতে হতো। এখন আর তাকে ধার দেনা করতে হয় না। তার স্বপ্ন কিছু থান কাপড় কিনে রাখবেন বিক্রির জন্য। তিনি বলেন, ‘আমি কষ্ট করসি কষ্টের ফলও পাইসি। এই জন্য বারসিক আমারে সহযোগিতা করসে আমি বারসিক এ কাছে কৃতজ্ঞ।’

happy wheels 2

Comments