বৃষ্টি হওয়াতে আমরা একটু স্বস্তি পেয়েছি
রাজশাহী থেকে আয়েশা তাবাস্সুম
‘আমরা গ্রামীণ জনগোষ্ঠী কৃষি আমাদের প্রাণ। আমরা কৃষির সাথে ওতোপ্রোতোভাবেই জড়িত। কৃষি ছাড়া আমরা বাঁচার কথা কল্পনাও করতে পারিনা।’
উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন মোহর গ্রামের কৃষক অখিলেশ দাস( ৫৫)। তিনি আরও বলেন, ‘এবারের অনাবৃষ্টিতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের অনেকের ফসল পুড়ে মরে গেছে। বীজতলায় সময় মতো বীজ বপন করতে পারিনি। তাই ধান লাগাতে আমাদের দেরী হয়েছে। বাজারে সবজিসহ নিত্যপন্যের দাম বাড়াই আমাদের নিজের উৎপাদিত সবজি মশলাই আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে । কিন্তু বিগত দিনের খরার কারণে আমাদের সবজির ফলন হয়নি।’
তবে বিগতো কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সবজি গাছ গুলো যেন প্রান ফিরে পেয়েছে বলে তিনি জানান। শুধু সবজি, গাছপালাই নয় গবাদি পশু, পাখি, এমনকি মানুষও অনেক স্বস্তি পেয়েছে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের নাভীঃস্বাস অবস্থা। অনেকে বিভিন্ন খোসপাঁচড়া জাতীয় রোগেও আক্রান্ত হয়েছেন। বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাদের সবজির লতা গজিয়েছে সবজির অনেক কুড়ি এসেছে বলে তিনি জানান। অখিলেশ দাস আরও বলেন, ‘এখন এই সবজিগুলো বড় হলে আমরা নিজেদের সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারবো। একটু বৃষ্টিতে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। এই বৃষ্টি আমাদের খাদ্য সংকটের হাত থেকে রক্ষা করবে। আমরা নতুনভাবে বীজ রোপণ ও বিভিন্ন প্রকার সবজির চারা লাগিয়েছি। এই চারাগুলো থেকে আমরা শাক ও সবজি পাব।’
বৃষ্টিতে হওয়াতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির এ সময় নিজেদের উৎপাদিতো শাক সবজি দিয়ে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।