মানিকগঞ্জে ধোঁয়ামুক্ত চুলা প্রদর্শনী ও মেলা
মানিকগঞ্জ থেকে নজরুল ইসলাম
একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রচলিত চুলার বিপরীতে উন্নত বা ধোয়ামুক্ত অপেক্ষাকৃত কম কার্বন নিঃসরণকারি চুলার ব্যবহারে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখে, জ্বালানি সাশ্রয় করে এবং পরিবেশবান্ধব ও সম্পূর্ণ নিরাপদ পারিবারিক জীবন নিশ্চিত রাখে। সারা পৃথিবীতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উন্নত চুলা ব্যবহারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ চলছে। আমাদের দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানও এই কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, কেবলমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরি-সাইলকাই গ্রামের ঝর্ণা বেগমের বাড়িতে পারিবারিক জ্বালানি ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্বন নিরপেক্ষ ধোঁয়ামুক্ত চুলা ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চুলা প্রদর্শনী-মেলা ও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। দু’টি গ্রামের ২৮টি পরিবার থেকে ২১টি চুলা প্রদর্শনীতে রাখা হয়। বিভিন্ন চুলার মধ্যে প্রচলিত চুলা থেকে একটু উন্নত কম ধোঁয়ামুক্ত তিন ধরনের চুলা লক্ষ্য করা যায়। প্রদর্শনী থেকে ঝর্ণা বেগমকে প্রথম, শাহিদা বেগমকে ২য় ও চম্পা বেগমকে ৩য় হিসেবে পুরস্কৃত করা হয় এবং সকল অংশগ্রহণকারীকে শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়।
স্থানীয় কৃষক নেতা খলিফা আব্দুর রাশেদ মিয়ার সভাপতিত্বে¡ পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়। তিনি বলেন, “আসলে এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য হলো ধোঁয়ামুক্ত জ্বালানি সাশ্রয়ী চুলার ব্যবহার। আপনারা এই চুলা ব্যবহার করবেন এবং অন্যদেরকে উৎসাহিত করবেন এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।” চিত্রশিল্পী আলোক মিয়া বলেন, “আমারা আপনাদের এই চুলা দেখেছি এবং তুলনা করেছি আপনারা অনেক ভালো করেছেন এবং আরো ভালো করা সম্ভব সেটি আপনারা অবশ্যই করবেন।”