উচু বরেন্দ্র এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে খরাসহনশীল ওঁল চাষ
উচু বরেন্দ্র এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে খরাসহনশীল ওঁল চাষ
নাচোল, চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে রন্জু আকন্দ
এবারে নাচোল উপজেলায় খরিবোনা আঝইর জোরপুকুর পুকুরিয়াচন্ডি পাইকোড়া খান্দুরা নাগইল বেলপুকুর ৮ গ্রামে ৯৫০টি ক্যারেটে ওঁল সবজি চাষ করেন ৪০টি পরিবার। আশানুরূপ ফলন আশা করছেন কৃষকরা। খান্দূরা গ্রামের হেফাজুল ৭০০ ভাঙ্গা ক্যারেটে ওঁল চাষ করে এলাকায় আলড়ণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, আমি আমার সবজি চাহিদা পূরণ করে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ পাবার আশা করছি। গত বছর খড়িবোনা গ্রামে সোহাগ পুষ্টিবাড়ি পরিদর্শন করি। অভিজ্ঞতা নিয়ে আমার পড়ে থাকা অবহেলিত জমিতে নিজ উদ্যাগে কেশরহাট রাজশাহী থেকে বীজ সংগ্রহ করে ৭০০ ভাঙ্গা ক্যারেটে ওঁল চাষ করি।’
হেফাজুল জানান, আগামীতে তাকে আর ক্যারেট কিনতে হবে না। এছাড়া বীজ সংরক্ষণ করেন বলে বীজও কেনা লাগবে। তাঁর কাছে এখন যা আছে তা দিয়ে তিনি পর্যায়ক্রমে ১০ থেকে ১৫ বছর ক্যারেটে ওঁল চাষ করতে পারবন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে খরাপ্রবণ উচু বরেন্দ্র এলাকায় কৃষদের নানামূখি সমস্যায় পরতে হয়। কখনো প্রচন্ড তাপ, কখনো হালকা বৃষ্টি। তারপর আবার প্রখর তাপদাহে জনজীবনসহ বিভিন্ন ফসলও ক্ষতি হয়। এছাড়া কৃষকরা প্রতিবছর ভাদ্র মাসে সবজি সংকটে পড়েন। হেফাজুল জানান, বাংলাদেশের সব এলাকায় পতিত জায়গায় এভাবে ওঁল চাষ করা সম্ভব। অন্যদিকে পাইকোড়া গ্রামের ছারিকুল বলেন, ‘এবার আমি সোহাগ পুষ্টিবাড়িতে অভিজ্ঞতা নিয়ে আমার বড় আমগাছের নিচে পরীক্ষামূলক ৩০টি ভাঙ্গা ক্যারেটে ওঁল চাষ করেছি। আমি ভালো ফলন পাব বলে আশা করছি।
এদিকে আঝইর গ্রামের তাহমিনা জানান, বারসিকর পক্ষ থেকে সোহাগ পুষ্টিবাড়িতে অভিজ্ঞতা নিয়ে ১০টি ক্যারেটে ওঁল এবং ৩টি ক্যারেটে আদা চাষ করেছেন। তাঁর ওল ও আদা ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন আদা ও ওঁল চাহিদা পূরণ হবে।
এলাকার ৪০টি পরিবারের ওঁল চাষ দেখে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন আগামিতে ওঁল চাষ করার। এতে করে এলাকায় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে ওল চাষ বলে জানান আঝইর গ্রামের কৃষক শাহাজামাল। তিনি ৩০টি ক্যারেটে ওঁল চাষ করেছেন। তিনি জানান, ওঁল খরাসহনশীল ফসল। সার ও সেচ লাগেনা। শুধু নিরানি একবার দিলেই ফলন পাওয়া যায়। তিনি আগামিতে ৩-৪ শত ক্যারেটে ওল চাষ করবন বলে জানান।