সাম্প্রতিক পোস্ট

কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করি, জীবন ও পরিবেশ সুন্দর রাখি

বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে শহিদুল ইসলাম

“বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বরেন্দ্র অঞ্চলটি অনেক উঁচু। মাটির গুণাগুণ এবং আবহাওয়াগত কারণসহ কৃষি প্রধান অঞ্চল হিসেবে এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসগুলো অনেক বেশি মানুষসহ ও পরিবেশর উপকারে আসতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে এই অঞ্চলে বায়োগ্যাস প্লান্ট ব্যবহার করলে অনেক বেশি ফলা ফল পাওয়া যাবে।” গতকাল ”নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেবা ঃ সমস্যা ও সমাধান” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় কথাগুলো বলছিলেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বায়োগ্যাস প্রোকৌশল মোহাঃ মোতাসিম বিল্লাহ ।

f

বারসিক এবং তানোর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির যৌথ আয়োজনে উক্ত মতবিনিময় সভায় “কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করি, জীবন ও পরিবেশ সুন্দর রাখি” প্রত্যয়ে কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার হিসেবে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি, সেবা সম্পর্কিত দিকগুলো নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি সেবাগুলো কিভাবে পেতে হয় এবং করণীয় দিকগুলো কি সে বিষয়ে তুলে ধরা হয়। মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞসহ কৃষক এবং সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাসহ সকলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

বরেন্দ্র অঞ্চলটি অনেক বেশি বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির উপযুক্ত এলাকা। কারণ এখানে বন্যা হয় কম। বায়োগ্যাস প্লান্ট করলে একই সাথে বাড়িতে রান্নার কাজ করা যায়, এবং জমিতে জৈবসার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আবার বায়োগ্যাস প্লান্ট করলে বাড়িতে গবাদি পশু পালনের একটি ঝোক থাকে কৃষকের মধ্যে। প্রকৌশলী মোহাঃ মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, “সরকার বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির জন্যে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণসহ এককালীন অনুদান কৃষককে সহায়তা করছেন। f=একজন কৃষক যদি বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করতে চান তাহলে তাকে উপকরণ সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার।” বায়োগ্যাস প্লান্ট ব্যবহার করেন এমন একজন কৃষক তানোর সমাসপুর গ্রামের মো. শরফ উদ্দিন বলেন, “বায়োগ্যাস প্লান্ট ব্যবহার করলে একই সাথে রান্না এবং কুষিসহ পরিবেশের উপকার পাওয়া যায়।” তিনি বলেন, “ধোয়াবিহিীন রান্না করার কারণে এখন নারীদের রোগবালাই কম হচ্ছে। আমার পরিবারের অর্থও সাশ্রয় হচ্ছে।” ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রতিনিধ মো. অসীম কুমার সরকার বলেন, “অনেক কম সুদে ব্যাংকগুলো বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির জন্যে ঋণ দিয়ে থাকে।”

মত বিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলার জৈব চর্চাকারী কৃষক আব্দুল হামিদ, জিতেন্দ্র নাথ সূত্রধর, জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত কৃষক মো. ইউসুফ আলী মোল্লা, জয়িতা পুরুষ্কার প্রাপ্ত নারী কৃষক মোছা. কবুলজানসহ তরুণ কৃষকগণ।

happy wheels 2

Comments