ছোট ছোট কাজ করে এগিয়ে যাবে তারা

রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন

করোনাকালিন সময়ে সারা পৃথিবী যখন অস্থির আমাদের গ্রামও তার ব্যতিক্রম নয়। স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় কিশোরীরা বাড়িতে বসে একাকিত্ব বোধ করছিল, তাদের সময় কাটছিলো না। ঠিক সেই সময় তারা মা, চাচীদের মতো হাতের কাজ বুটিক সেলাই শুরু করে।

এভাবে অবসর সময়ে তারা তাদের মা চাচীদের কাছ থেকে হাতের কাজ বুটিক সেলাই শিখতে শুরু করে। সেরকমই একজন কিশোরী মোসাঃ রুবিনা খাতুন। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, সে সংসারের বিভিন্ন কাজে তার মাকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি অবসর সময়ে হাতের কাজ বুটিক সেলাই করে। এই প্রসঙ্গে মোসাঃ রুবিনা খাতুন বলে, ‘আমি হাতের কাজ বুটিক সেলাই করে মাসে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারি। আমি সে টাকা দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো নিজের ছোট ছোট চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারি।’

রুবিনার মতো অনেক কিশোরী আছে যারা হাতের কাজ বুটিক সেলাই করে আয় করছে। বিলনেপাল পাড়া তরুণ স্বপ্নযাত্রা সংগঠনের সদস্য মোসাঃ মাহাবুবা খাতুন বুটিক সেলাইয়ের কাজগুলো রাজশাহী থেকে নিয়ে আসে ও সাপ্লাই দিয়ে থাকে। বারসিককর্মী এলাকার মাহবুবার সাথে এলাকার কিশোরীদের যোগাযোগ করে দেওয়ার ফলে কিশোরীদের হাতের কাজ অনেক সহজ হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা হাতের কাজ বুটিক সেলাই করে আয় করে নিজের খরচগুলো চালাতে পারে।

কিশোরীরা জানায়, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে প্রচুর অবসর সময় পাচ্ছে। এ সময় বুটিক ও সেলাইয়ের কাজ শিখে তাদের ভালো লাগছে। আয়ও হচ্ছে ভালো। এলাকাবাসী মনে করেন, এভাবেই ছোট ছোট কাজ করে মেয়েরা এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।

happy wheels 2

Comments