উপকূলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ
শ্যামনগর, সাতক্ষীরা থেকে বিশ্বজিৎ মন্ডল
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ডেঙ্গু। আর এটি আস্তে আস্তে মহামারি আকারে ধারণ করতে পারে এমনটি সকলের মনে মনে। এটি আস্তে আস্তে দেশের এক প্রান্তে থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়ে গেছে। যে আতঙ্ক দেখা যায় কোন দূর্যোগের আগে কিংবা পরে। ঠিক ডেঙ্গুও তেমনি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ ভৌগলিক ও ভুতাত্বিক অবস্থানগত কারণে একটি প্রাকৃতিক দূর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। প্রতিনিয়ত জলবাযু পরিবর্তনের ফলে দূর্যোগের মাত্রা যেমন বাড়ছে সাথে ক্ষতির মাত্রা, ক্ষতির পরিধি বাড়ছে। সাথে সাথে বাড়ছে ঝুঁকিও। এ ঝুঁকির মধ্যে থেকে দূর্যোগের আগে ও পরে থাকে নানান ধরনের পদক্ষেপ যাতে ক্ষতির পরিধি কমিয়ে আনা যায়।
আলোচিত বিষয় ডেঙ্গুকে নিয়ে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তেমনিভাবে এই আলোচিত ইস্যু ডেঙ্গুকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার ম্যামনগর উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান রেখেছে। সেখানে প্রতিপাদ্য বিসয় হলো ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন’। উপজেলাব্যাপী সচেতনতা তৈরির জন্য গতকাল জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন উপকূলীয় সকল এনজিও কর্মী ও স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে উপজেলা হল রুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আগামী পহেলা আগস্ট (আজ) শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মশক নিধন কর্মসূচী গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেখানে শ্যামনগর এলাকার ইউনিয়ন পরিসদ এবং যে বেসরকারী সংস্থা যে ইউনিয়নে কাজ করে তাদের সার্বিকভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা এবং তা ১২টি ইউনিয়নে একযোগে কর্মসূচী পালন করার আদেশ দেওয়া হয়। বারসিককে কাশিমাড়ি, কৈখালী, পদ্মপুকুর ও ভুরুলিয়া ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সেলক্ষে আজ উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিসদেও আয়োজনে এবং স্বেচ্ছা সেবক টিম সিডিও ও সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির এবং বারসিক’র সহযোগিতায় দায়িত্ব প্রাপ্ত ৪টি ইউনিয়নে এডিস মসা নিধন কার্যক্রম উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে ৪টি ইউনিয়নের সিডিও ও স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, উপজেলা জনসংগঠনের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনগোষ্ঠী, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় ২নং কাশিমাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমরা উপকূলীয় মানুষ সবসময় বিপদের মধ্যে থাকতে হয়। দূর্যোগ একটি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। ডেঙ্গুও একটি দূর্যোগ। এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। আমার এলাকার মসজিদে প্রচার দেওয়ার চেষ্টা করবো।’