আমরা কৌশল করে বেঁচে থাকবো

সাতক্ষীরা শ্যামনগর থেকে মনিকা পাইক
শ্যামনগর ইউনিয়নের জাওয়াখালী কৃষি নারী সংগঠনের উদ্যোগে এবং বারসিক’র সহায়তায় কৃষাণী শেফালী বিবির বাড়িতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। মত বিনিময় সভায় শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রবীণ কৃষক-কৃষাণী, নতুন প্রজন্ম ও বারসিক কর্মরত বিশ্বজিৎ মন্ডল ও মনিকা পাইক অংশগ্রহণ করেন।


মত বিনিময় সভায় অংশগ্রহনকারী শেফালী ও মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত দুর্যোগের সাথে লড়াই করে বেঁচে আছি। কিন্তু এই বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন থেমে গেছে। বারসিক’র সাহায্যে যে সবজি বীজ পেয়েছিলাম তা থেকে তরুল, ঝিঙে, শসা, লাউ নিজেরা পরিবারে খাওয়ার পরেও বিক্রি করছিলাম। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে সব গাছ লাল হয়ে মারা যাচ্ছে। আমরা বাইরে জন মজুরি না খেটে বাড়িতে সবজি চাষ করি, সেই সাথে হাঁস মুরগী পালন করি।’ মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আগে কখনো বুঝতে পারিনি, হাঁস দীর্ঘ সময় পানিতে থাকলে পা ধরে মারা যায়। আমার অনেকগুলো হাঁস এভাবে মারা গেছে।’


বাদঘাটা পরিবেশ বান্ধব কৃষি ক্লাবের সভাপতি দেবুরজ্ঞন মন্ডল বলেন, ‘একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে প্রাকৃতি দুর্যোগ। আমাদের সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ। সব কিছুর মধ্যে টিকে থাকতে হবে, আমরা যে সবজি বীজ লাগাবো তা সঠিকভাবে পরিচর্যা করবো। ফসল ফলিয়ে নিজে বীজ সংরক্ষণ করবো, এবং তা পরবর্তীতে বিভিন্ন মানুষকে সহায়তা করবো।’
আইসিএম কৃষি ক্লাবের প্রবীণ ব্যক্তি নজরুল বলেন, ‘প্রকৃতিতে টিকে থাকতে হলে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যেমন বস্তা পদ্ধতিতে বা উঁচু করে আইল তৈরি করে সবজি চাষ করতে হবে। গেল বর্ষায় আমাদের গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা স্থানীয় কিছু কৃষক মিলে সেটা নিরসন করেছি। যার যার বাড়ির সামনে সেই পানি সরানোর পাইপ বসিয়েছে। এভাবে কৌশল করে আমরা টিকে থাকবো।’

happy wheels 2

Comments