কালো ধোঁয়া নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান
গতকাল ২০ মার্চ সিংগাইর উপজেলার বাঙ্গালা ধারার চক পাড়া গ্রামে বেসরকারী উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগিতায় গ্রামের কৃষাণীদের আয়োজনে নারীর স্বাস্থ্য ঝুকি নিরসনে পরিবেশবান্ধব চুলা, স্থানীয় পদ্ধেিত মুরগির বাচ্চা ফোটাতে হাজল তৈরি ব্যবহার ও হাঁস, মুরগির রোগ নিরাময়ে করণীয় বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় কৃষাণী রাশেদা বেগমের সভাপতিত্বে পরিবেশবান্ধব চুলা এবং হাজল তৈরি বিষয়ে আলোচনা করেন ব্রী-কালিয়াকৈর নয়পাড়া গ্রামের অভিজ্ঞ কৃষাণি রমেলা বেগম এবং শহীতন বেগম। অন্যদিকে হাঁস, মুরগির রোগ নিরাময় বিষয়ে আলোচনা করেন বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার মো. মাসুদুর রহমান।
পরিবেশবান্ধব চুলা তৈরি ও ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষক শহীতন বেগম বলেন, ‘কালো ধোঁয়া নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে চকের এঁটেল মাটি ও লেতি কাদা দিয়ে এক ধরনের চুলা তৈরি করা য়ায় যে চুলায় ধোঁয়া কম হয়, আগুন বেশি থাকে, জ্বালানির অপচয় কম হয় এবং হাড়িতে কালি পড়ে না।’ এছাড়া এই চুলা ব্যবহার করলে নারীর স্বাস্থ্য ঝ্ুঁকি কম থাকে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে হাজল ব্যবহারকারী রমেলা বেগম বলেন, ‘আমরা সাধরণত মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য হাড়ি ও ঝাকা ব্যবহার করে থাকি। এতে মুরগির ডিম নষ্ট হওয়া ও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু হাজল হচ্ছে মাটির তৈরি এমন একটি পদ্ধতি যার মেেধ্য খাবার এবং পানি উভয়ই থাকে। পানি ও খাবারের জন্য মুরগি কখনো বাইরে যায় না। হাজলে ডিম ফোটানোর জন্য প্রয়োজনীয তাপের ব্যবস্থা থাকে এবং বাচ্চা উঠার পর নির্দিষ্ট সময়েই ডিম দিয়ে থাকে।’
এদিকে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘শীত এবং গরম উভয় মৌসুমেই রোগের হাঁস ও মুরগির রোগ হয়ে থাকে। তার মধ্যে শীতকালে রোগের পরিমাণ একটু বেশি হয়। সাধারণত হাঁস, মুরগির যে রোগগুলো হয়ে থাকে তা হলো নিউমনিয়া, চোখে ফুলি পড়া, রানীক্ষেত, গুটি বসন্ত। এ রোগ নিরাময় এর জন্য বাচ্চা উঠানোর সাথে সাথে ড্রপ ব্যবহার ও পটাশের পানি, মাঝ বয়সী হলে টিকা দিতে হবে।’