এশিয়ার কৃষক এবং বীজ আইনগুলো
সিলভানুস লামিন
কৃষক ও বীজ শব্দদ্বয় এক সাথে যায় এবং আমরা এভাবে কৃষিকে বুঝে থাকি। কৃষকেরা স্থানীয় বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের শস্য-ফসল নির্বাচন করেন, শংকরায়ণ করে নতুন প্রজাতি উদ্ভাবন করেন, নির্বাচিত এসব শস্য-ফসল পরস্পরের সাথে বিনিময় করেন এবং ফসল কাটার পর পরবর্তী মৌসুমে চাষাবাদের জন্য নির্বাচিত শস্য-ফসল থেকেই বীজ নির্বাচন ও সংরক্ষণ করেন। বংশপরম্পরায় কৃষকেরা এই কৃষিঅনুশীল চর্চা করে আসলেও বর্তমানে তারা এই কৃষিঅনুশীলন আর চর্চা করতে পারছেন না। পরিস্থিতি এখন দ্রুত পাল্টাচ্ছে। নতুন নীতিমালা এবং প্রণীত বীজ আইনের কল্যাণে কৃষকদের স্থানীয় প্রজাতিগুলোকে উপক্ষো করে তাদের ঐতিহ্যবাহী কৃষিঅনুশীলনগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে।
বিগত তিন দশক থেকে এশিয়ার কৃষকেরা দেখেছেন জাতীয় কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ করে বীজের ব্যাপারে জাতীয় সরকারগুলোর ভূমিকা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। যেহেতু বীজ হচ্ছে নিতান্তই স্থানীয় সম্পদ তাই কৃষকদের প্রজাতির মধ্যে অনেক বেশি বৈচিত্র্য থাকাটাই স্বাভাবিক। এশিয়ায় যতটা বীজ অনুশীলন রয়েছে ততটাই রয়েছে কৃষক জনগোষ্ঠী। এসব অনুশীলনের মাধ্যমে ঐতিহাসিকভাবে সাধারণ যে চর্চাটি পরিলক্ষিত হয় তা হলো পরষ্পরের সাথে কৃষকদের বীজ বিনিময়। তাই যতদিন কৃষকেরা নিজস্ব বীজ সংরক্ষণ ও বর্ধন করতে সমর্থ হবে ততদিন পর্যন্ত কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদিত বীজ কৃষকদেরকে দিয়ে কেনাতে পারবে না। এক্ষেত্রে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো যেখানে তাদের প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে কৃষককে আকৃষ্ট পারে না সেখানে তারা ‘বিকল্প’ হিসেবে আইনকে পছন্দ হিসেবে ব্যবহার করে যেখানে তারা কৃষকদের বীজ সংরক্ষণে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং তাদের উৎপাদিত বীজ কেনাতে কৃষকদের বাধ্য করতে পারে।
এভাবে দেখা যায়, এশিয়ায় কৃষকদের ঐতিহ্যবাহী কৃষি শস্য-ফসল বীজ সংরক্ষণ ও আবাদ বিষয়টি কৃষক নিয়ন্ত্রিত কৃষিব্যবস্থা থেকে কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত কৃষি ব্যবস্থাতে রূপান্তরিত হয়েছে প্রায় ৫০ বছর হয়ে গেছে। এই রূপান্তরের পর থেকে অপ্রতিষ্ঠানিক বা ঐতিহ্যবাহী বীজ খাত লক্ষ্য করেছে যে, একটি ‘নিয়ন্ত্রিত কৃষি’ বা বীজ ব্যবস্থা আত্মপ্রকাশ করেছে যেখানে এই ব্যবস্থায় ক্ষুদ্র ও দরিদ্র কৃষকদের জন্য বীজ নীতি যতটা নিয়ন্ত্রিত ও কঠোর বহুজাতিক কোম্পাানিগুলোর জন্য সেটি তত বেশিই সহজ, শিথিল ও বন্ধুভাবাপন্ন। কৃষকদের বীজের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাথে সাথে বীজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে: প্রথমে জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা national agricultural research systems (NARS) এর মাধ্যমে এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এবং দ্বিতীয়ত্ব বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি বা প্রাইভেট খাতের মাধ্যমে।
কৃষকদের ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় বীজের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৬০ সালের দিকে যখন তথাকথিত ‘সবুজ বিপ্লব’ এর মাধ্যমে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের সূত্রপাত হয়। বাণিজ্যিক কৃষি শুরুর পর থেকে উচ্চ ফলনশীল high yielding varieties (HYVs) নাম দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতি ধান, গম ও ভুট্টা উদ্ভাবন করা হয়। এ ধরনের উচ্চ ফলনশীল বীজের ভালো ফলনের জন্য প্রচুর পরিমাণ সেচ এবং রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন হয়। দশকের পর দশক রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে মাটিতে থাকা জৈব পদার্থ ধ্বংস হয়েছে এবং বাইরের বিভিন্ন উপকরণ ছাড়াই কৃষকের বীজ আবাদের ক্ষমতা ও সামর্থ্যকেও নষ্ট করা হয়েছে। আধুনিক এ উচ্চ ফলনশীল জাত ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় প্রজাতির জাতগুলোকে বিলুপ্ত করেছে। কৃষকেরা এই তথাকথিত উচ্চ ফলনশীল বীজে আবাদ করেছেন এর ভালো ফলনের জন্য নয়; বরং একমাত্র এই প্রজাতি ব্যবহার করলে সরকারের তরফ থেকে তারা ঋণ, ভর্তূকি ও বিভিন্ন কৃষিসংশ্লিষ্ট সেবা লাভ করতেন বলে! উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফিলিপাইনের High-Value Crops Development আইন-১৯৯৫ কৃষকদেরকে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী বীজ ব্যবহারের পরিবর্তে উচ্চ ফলনশীল ব্যবহারে উৎসাহিত করেছিল যেখানে রাষ্ট্র উচ্চফলনশীল প্রজাতি আবাদের জন্য কৃষকদের স্বল্প সুদের ঋণ, কর মওকুফ এবং বাজারব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
দেখা যায়, ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত বছরগুলোর সময়ে বিশ্বব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে তাদের জাতীয় বীজ আইনগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) এই জাতীয় সরকারগুলোকে বীজ আইন প্রণয়নের জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে। প্রণীত এই আইনগুলো আসলে ব্যবহার করা হয়েছে কোন প্রজাতি ব্যবহার হবে তা নিদির্ষ্ট করে দেওয়ার জন্য, বীজ প্রত্যয়নপত্র প্রদানে সুপারিশের জন্য এবং বাণিজ্যের মান সূচনার জন্য। এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে ভারতের প্রণীত আইন প্রণিধানযোগ্য। অন্যদিকে মধ্য ৭০ দশকের দিকে থাইল্যান্ড USAID -এর সহযোগিতায় সরকারি মন্ত্রণালয়ে বীজ বিভাগ গঠন করে এবং USAID দীর্ঘ এক দশক ধরে (১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত) এই বিভাগকে ঋণ দিয়েছে বীজ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনার মাধ্যমে সমগ্র থাইল্যান্ডে বীজ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এছাড়া আন্তর্জাতিক বা বাইরের এই চাপের কারণে অনেক দেশ আবার নিজস্ব বীজ কোম্পানি এই সময় গড়ে তুলেছে। এর উদাহরণ হতে ভারতের National Seeds Corporation এবং বাংলাদেশের Bangladesh Agricultural Development Corporation (BADC) । বীজ আইন অবশ্য এমন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণকে সহযোগিতা বা সুপারিশ করে যা পরবর্তীতে বেসরকারি বা প্রাইভেট খাতকে সহায়তা করে। সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য নতুন বীজ আইনগুলোকে ভালো একটি বিষয় বা ধারণা বলে মনে করে এবং এ কারণে বীজ উৎপাদন বা বণ্টনে যেকোনও উদ্দেশ্যেই হোক নতুন ও অপ্রথাগত মানুষেরা বীজ খাতে প্রবেশ করেছে। যেসব কৃষক বাজারের বীজ ব্যবহার করেন তারা অভিযোগ করেন যে, এসব বীজের মধ্যে অনেকটি মেকি, অপর্যাপ্ত উৎপাদন দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ‘কৃষকদের স্বার্থের’ যুক্তিটি সহজে উত্থাপন করার মাধ্যমে এসব কোম্পানির বীজের গুণগত মান যাচাই বা পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বীজ আইন ও বিধিবিধানগুলোর জন্য কতটা দরকার তা সেটা মনে করিয়ে দিতে পারি।
অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ রয়েছে যারা বীজ আইন প্রণয়ন না করলেও নিজেরা কৃষকদেরকে সংগঠিত করার জন্য বিভিন্ন আইন ও বিধিবিধান প্রণয়ন করেছে। উদাহরণ হিসেবে মালয়েশিয়ার কথা বলা যায়। এই দেশটির ১৯৭৩ সালের আইনটি Farmers Organisation Authority (FOA) নামে সংগঠন দাঁড় করেছে কৃষকদের সমবায়গুলোকে তত্বাবধানের জন্য। এই ধরনের আইনগুলো কিন্তু কৃষকদের কর্মসূচিগুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা রাখে। নিদির্ষ্ট ক্ষমতা বলে, কৃষক সংগঠনের নামে কৃষকদেরকে ‘কারিগরি দক্ষতা’ প্রদানের অজুহাতে সরকারের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করা হয়। রাষ্ট্রের জাতীয় কৃষিবিভাগ পরে এই কৃষকদের ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এই FOA সার ভর্তূকি প্রদান করে এবং উচ্চ ফলনশীল বীজের চারা বিতরণ করে। অন্যদিকে এ ধারার কল্যাণে নিত্য নতুন প্রজন্মের প্লান্ট ব্রিডারদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। জাতীয় ব্রিডিং কর্মসূচিগুলোতে এমন বিজ্ঞানীরা কাজ করেন যারা পশ্চিমাদেশ থেকে ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তারা জাতীয় বিড্রিং কর্মসূচি পরিচালনায় কৃষকদের ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় প্রজাতিগুলোকে কম উৎপাদনশীল ও সেকেলে আখ্যায়িত করে নতুন তথাকথিত উচ্চফলনশীল প্রজাতি সূচনা করেছেন। আনুষ্ঠানিক ব্রিডিং পদ্ধতিগুলো প্রজাতির জেনেটিক ভিত্তিকে দূর্বল করে এবং স্থানীয় ঐতিহ্যবাহীর মূল্যের বিনিময়ে তারা বিশ্বে কৃষিবাণিজ্যের দৈত্যগুলোর চাহিদানুযায়ী এমন প্রজাতি প্রবর্তন করেন যেগুলো ‘কিছুমাত্র’ জেনেটিক ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে উদ্ভাবিত হয়েছে।
অন্যদিকে আনুষ্ঠানিক ব্রিডিং প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান মনোযোগ হচ্ছে হাইব্রিড ধান উদ্ভাবন করার, যা দু’টি সহজাত মাতৃ বা পিতৃকূল প্রজাতির সংকরায়ণের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা যায়। একটি আদর্শ উৎপাদন পরিবেশে হাইব্রিড ধানের প্রথম বংশের প্রজাতি উৎপাদন ভালো ফলন দিলেও বীজ সংরক্ষণ করে দ্বিতীয় বংশের হাইব্রিড ধানের ফলন ভালো হয় না বিধায় বীজ সংরক্ষণ করা অর্থহীন হয়ে পড়ে। এই ধানের বীজ সংরক্ষণ করা যায় না বলে প্রাইভেট খাত বা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছে এই বীজ খুবই আকর্ষণীয় বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে সব ধরনের শস্য-ফসলকে হাইব্রিডকরণ করা সহজ নয়। প্রাথমিকভাবে সয়াবিন এবং sorghum করা গেলেও ধান ও গমের হাইব্রিডকরণ করা যায়নি। তবে ১৯৮০ সালে চীন ধানের হাইব্রিডকরণের পদ্ধতি আবিষ্কার করার পর থেকে হাইব্রিড প্রজাতির ধান এখন সারাবিশ্বে ছেয়ে গেছে। এই একই সালে আরেকটি নতুন পদ্ধতি কৃষিক্ষেত্রকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করা, যা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বীজ প্রবর্তন ও উদ্ভাবনের পথকে প্রসারিত করে। এভাবেই মনসান্তো, সিনজেন্টার মতো বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বড় আকারের প্লান্ট ব্রিডিং পরিচালনা শুরু করে। তারা বীজের জেনেটিক গঠন পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন ধরনের প্রজাতি উদ্ভাবন করে এবং এই নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রজাতির একচেটিয়া বাণিজ্যিক অধিকার দাবি করে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ভাবিত এই নতুন প্রজাতির প্রতিষ্ঠানিক প্যাটেন্টের জন্য তারা বিভিন্ন তদ্বির শুরু করে। এর অর্থ হচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের GE বীজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পূর্ণ অধিকার নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রক্রিয়ায় ঐতিহ্যবাহী শস্য-ফসলের ব্রিডাররা, যারা তাদের শস্য-প্রজাতি ব্যবহারে অন্যদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করে থাকে তাদের তুলনায় পেশাদারি প্ল্যান্ট ব্রিডারদের অধিকার আরও উচ্চ পর্যায়ে পৌছে যায়।
এই প্রক্রিয়া কৃষক যাদেরকে জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শস্য-ফসল ব্রিডিংয়ের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় এবং প্ল্যান্ট ব্রিডার যারা মূলত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ব্রিডিংয়ে সুবিধা পায় তারাও অর্ন্তভুক্ত হয়। এছাড়া কর্পোরেট ব্রিডিং কোম্পানিগুলো আইন-নীতিমালা প্রণয়নকারী সরকারি সংস্থা বা যন্ত্রগুলোকে প্রভাবিত করার জন্য আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে। তারা সরকারি প্রতিষ্ঠান বা যন্ত্রগুলো এমন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করার জন্য প্রভাবিত করে যে আইন বা নীতিমালাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বীজ ও অন্যান্য কৃষি শস্য-ফসলকে রক্ষা করে; কৃষকদের সংরক্ষিত ঐতিহ্যবাহী বীজগুলোকে নয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবং এই সংস্থা কর্তৃক প্রণীত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের দাবিগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে উত্থাপন করার সুযোগ লাভ করে। তাই ১৯৯৫ সালের পর থেকে এশিয়ার অনেকগুলো জাতীয় সরকার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা কর্তৃক প্রণীত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকারের চুক্তিগুলোকে গ্রহণ করতে বাধ্য হয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হওয়ার কারণে। এর অর্থ হচ্ছে বীজ ও অন্যান্য উদ্ভিদ প্রজাতির ওপর বৃদ্ধিবৃত্তিক অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হয়েছে।
PANAP প্রকাশিত Seed Laws লেখাটির অবলম্বনে