তাল গাছ আমাগো ঠাটা (বজ্রপাত) থেকে রক্ষা করে
সিংগাইর মানিকগঞ্জ থেকে বিউটি সরকার
সম্প্রতি সিংগাইর উপজেলার বায়রা একতা কৃষক কৃষাণি সংগঠনের কৃষাণিদের উদ্যোগে বায়রা গ্রামের কাঁচা রাস্তায় ২০০ তাল বীজ রোপণ করা হয়েছে। কৃষাণীরা মূলত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বজ্রপাত থেকে রক্ষার পাওয়ার জন্যই এ তাল বীজ রোপণ করেছেন। তারা মনে করেছেন, তাল গাছ বড় হলে বজ্রপাত নিরোধক হিসেবে কাজ করবে। এতে করে ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রাণহানীর ঘটনা কমবে।
কৃষাণী এই সংহঠনের সদস্যরা তাই প্রতিবছর এলাকার কোন একটি রাস্তায় তাল বীজ রোপণের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন। উক্ত তাল বীজ রোপণ কার্যক্রমে সংগঠনের সদস্য ছাড়াও বায়রা গ্রামের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। সংগঠনটির উদ্যোগে চলতি বছরে বায়রা গ্রামের চালতা তলা হতে গাড়াদিয়া রাস্তার মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে দুই শতাধিক তাল বীজ রোপণ করা হয়। এ কার্যক্রমে সংগঠনের সদস্যরা নিজেরা ছাড়া ও নতুন প্রজন্মকে যুক্ত করেন। যাতে করে এ নতুন প্রজন্দ প্রাণ, প্রকৃতি, পরিবেশ এর প্রতি যতœবান হয় এবং পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য দায়িত্বশীল হয়ে উঠে।
এ প্রসঙ্গে আন্না বেগম বলেন, ‘ছোট ছেলেমেয়েরা তাল বীজ লাগালে তালগাছের প্রতি যতœ নিবে এবং তালগাছের গুরুত্ব বুঝতে পারবে।’ কৃষাণি সাফিয়া বেগম বলেন, ‘তাল গাছ আমাগো ঠাটা (বজ্রপাত) থেকে বাঁচায়। তাই বেশি করে তাল বীজ লাগাতে হবে।’ কৃষাণি রোকেয়া বেগম বলেন, ‘বায়রা গ্রামে আগে অনেক তাল গাছ ছিল কিন্তু বর্তমানে কমে গেছে। তাই আমরা বায়রা গ্রামে আগের মত তাল গাছ দেখতে চাই এবং বায়রা গ্রামে প্রত্যেক রাস্তায় আমরা প্রতিবছর তাল বীজ রোপণ করবো। ফলে তাল গাছ দেখতে পারবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘তালগাছ থেকে তাল এবং তালের রস খাওয়া যায়। এ তালগাছ থেকে আমি তাল খেতে না পারলেও নতুনরা খেতে পারবে এতেই আমার সুখ।’