নতুন করে আবারও সমৃদ্ধি হবে শতবাড়ি
সাতক্ষীরা শ্যামনগর থেকে রুবিনা রুবি
শ্যামনগর উপজেলার দেবালয় গ্রামে শতবাড়ির সদস্য কৃষক কৃষ্ণপদ মন্ডলের বাড়ি শতবাড়ির প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। সভায় উপস্থিত ছিলেন আটুলিয়া, বেতাঙ্গী, দেবালয় সোনামুগারী, কাছড়াঘাট, নকিপুর গ্রামের শতবাড়ির সদস্যরা।
আলোচনা সভায় কৃষক কৃষ্ণপদ মন্ডল বলেন, এখন আমার ক্ষেতে এখন তরুল, কচুর মুখী,আছে আর বেগুন শসা,ঢেড়স, বরবটি, বৃষ্টির কারণে সব গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। সামনে শীতের মৌসুমে ভাল শীতকালীন সবজি বীজ রোপণ করতে চাই। কৃষাণী করুণাময়ী রানী বলেন, ‘বারসিক থেকে ভিটা উচু করে দেয়ার পর চার পঁাচ বছর খুব ভালো সবজি লাগায়ছি। এখনও লাগায় কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে আমার ভিটা আবার ও পানিতে ডুবে যায়। আমার নেপিয়ার ঘাসগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে।’
বেতাঙ্গী গ্রামের শতবাড়ির কৃষাণী অনিতা রানী বলেন, ‘আমার সবজি হচ্ছে ভালো। বিক্রিও করছি কিন্তু বর্ষায় আমার অচাষকৃত শাক সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমি বাড়িতে ককসেটে ঝুড়িতে মাটি দিয়ে আদা, উচ্ছে, ঝালের চারা দিছি ভালো ফলন ও পাচ্ছি। আমার বাড়িতে কেঁচো কম্পোস্ট ও আছে আমি কেঁচো বিক্রি করি এক হাজার টাকা কেজি আর কম্পোস্ট বিক্রি করি ৫০০টাকা মণ।’ সুমিত্রা রানী বলেন, ‘বর্ষায় আমার আদা, ওল, হলুদ সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমি বাড়িতে বীজ সংরক্ষণ করি এবং আমার আশেপাশের মানুষের বীজ বিনিময় করি।’
সভায় কৃষক শেখ সিরাজুল ইসলাম সকলের পরামর্শ দেন কিভাবে পোকামাকড় থেকে সবজি ক্ষেত সুরক্ষিত রাখা যায়। কোন পদ্ধতিতে কোন সময়ে সবজি রোপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সারের উপকারিতা সম্পর্কে বলেন সবাই কে।কৃষক সিরাজুল ইসলাম কৃষি অধিদপ্তরের সকল সেবা সম্পর্কে সবাই কে অবহিত করেন।
সভায় আরও অভিজ্ঞতা সহভাগিতা করেন তরুলতা রানী, কৃষাণী কোহিনূর বেগম, কৃষাণী রাবেয়া খাতুন প্রমুখ।