উত্যক্তকরণ ও হয়রানি প্রতিরোধে কিশোরদের শপথ
ঢাকা থেকে ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল
রাস্তাঘাটে উত্যক্তকরণ ও হয়রানি বন্ধে প্রয়োজন পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা ও আইনের প্রয়োগ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আলোচকরা। সম্প্রতি বারসিকের মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যোগে উত্যক্তকরণ ও হয়রানি প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারসিকের সহযোগী প্রকল্প সমন্বয়ক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, সহযোগী প্রকল্প কর্মকর্তা সুদীপ্তা কর্মকার, বস্তিবাসী নেত্রী হালিমা বেগম প্রমূখ।
কর্মশালায় কিশোর কিশোরীরা বলেন, ‘বস্তি এলাকায় মেয়েদের নানাভাবে নাজেহাল ও উত্যক্ত করা হয়। কখনও বাজে কথা বলে, শিশ মারে, ওড়না ধরে টান দিয়ে, চোখ মেরে, মোবাইলে ভিডিও করাসহ নানানভাবে আমাদের উত্যক্ত করা হয়।’ অনেক সময় যৌন নির্যাতনের মত ঘটনাও ঘটে থাকে। এগুলো কেন করে ও কারা করে এ প্রশ্ন করলে তারা বলেন, ‘বস্তির ও বাইরেই বখাটে, মাদকাশক্ত ও প্রভাবশালীরা এ গুলো করে থাকে। আর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।’
কর্মশালায় তাদের আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে অধিকাংশ কিশোরীই কখনও না কখনও এ ধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর এই নির্যাতনের কথা বলতে গেলে পরিবার হয় তাদের চুপ করে থাকতে বলে বা বাল্য বয়সেই তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। তাই অনেকেই ভয়ে এ বিষয়গুলো চেপে রাখে বা প্রকাশ করে না।
উত্যক্তকরণ ও হয়রানি বন্ধে কি করণীয় এ বিষয়ে মুক্ত আলোচনায় তারা বলেন, ‘সবার আগে পরিবারকে সচেতন হতে হবে যে, এক্ষেত্রে মেয়েটির কোন দোষ নেই। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে আর প্রয়োজনে আইনি সহযোগিতা নিতে হবে।
কর্মশালায় উপস্থিত কিশোররা উত্যক্তকরণ ও হয়রানির বিরুদ্ধে নিজেদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শপথ পাঠ করেন। তারা বলেন, ‘সকলে এক হয়ে তারা এ সমস্যার সমাধান করবো।’