দূর্যোগ ঝুঁকি কমাতে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে বিশ^জিৎ মন্ডল
‘আমরা যে এলাকায় বাস করি এটি দূর্যোগ পূর্ন এলাকা। তাই দূর্যোগ সম্পর্কে আমাদের সকলকে জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। তাহলেই না আমরা দূর্যোগ ঝুঁকি কমাতে পারবো। সেক্ষেত্রে দূর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
উপরোক্ত কথাটি বলেছেন জয়নগর গ্রামের কৃষানী খাদিজা বেগম। সম্প্রতি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে জয়নগর কৃষিনারী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবক টিম সিডিও ও সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের উদ্যোগে এবং বারসিক’র সহযোগিতায় দূর্যোগ সম্পর্কে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ধারণা ও সক্ষমতা জানা এবং সচেতনতা তৈরির করণীয় বিষয়ে গ্রাম পর্যায়ে অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতায় এ কথা বলেন তিনি।
উক্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় জয়নগর, কাশিমাড়ি ও গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক- কৃষাণী-শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিকট দূর্যোগ কি, এলাকায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ কোন সময় বেশি হয়, কোন কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে তাদের ক্ষয় ক্ষতি বেশি হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তাদের ধারণা, দূর্যোগের আগে ও পরে করণীয়, দূর্যোগের সংকেত, কোন কোন প্রাণী এলাকা থেকে বিলুপ্ত হয়েছে, ইউনিয়ন ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি কি এবং তাদের কাজ ইত্যাদি বিষয়ে কুইজের মাধ্যমে জানা হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের নিকট তাদের অনুভূতি জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দূর্যোগ সম্পর্কে কাজ করলেও আমরা এখনো দূর্যোগ সম্পর্কে ভালোভাবে জানি না। এরকম কর্মসূচি গ্রাম পর্যায়ে আরো বেশি প্রয়োজন। তাহলে আমরা দূর্যোগ সম্পর্কে জানতে পারবো, দূর্যোগে আগে ও পরে আমাদের করণীয় সম্পর্কে ধারণা পাবো।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রোজিনা বেগম বলেন, ‘আজকের এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি দূর্যোগ সম্পর্কে যা আমাদের পরিবার ও সমাজের জন্য খুবই উপকারী। সাথে এলাকার যুবরা স্বেচ্চাসেবক হিসেবে কাজ করার জন্য আরো বেশি বেশি আগ্রহী ও উদ্যোগী হবে।’
কুইজ প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ১৫ জন কৃষক-কৃষাণী ও শিক্ষার্থী স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় যারা সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন তারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন কৃষানী রোজিনা বেগম, ২য় স্থান অধিকার করেন শিক্ষার্থী তানিয়া সুলতানা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন তানভীর হোসেন।