রাজশাহীতে ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা ও যুব নেতৃত্ব’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
রাজশাহী থেকে আহমেদ রাফি
বারসিক’র উদ্যোগে সম্প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও যুবনেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণ করে “বরেন্দ্র শিক্ষা সংস্কৃতি বৈচিত্র রক্ষা কেন্দ্র ” নতুন সদস্যবৃন্দ। তারা রাজশাহীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। নিজেদের আগ্রহের জায়গা থেকেই সমাজের জন্য পড়ালিখার পাশাপাশি কিছু করার উদ্দেশ্যেই তারা সংগঠনটির সাথে যুক্ত হয়।
এই ধারাবাহিকতায় তরুণদের চাহিদানুযায়ী যুব নেতৃত্ব ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে সম্পৃক্ত করে ২দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে “বারসিক”। কর্মশালা দুটি ধারাবাহিকভাবে গত ২০ ও ২১ শে অক্টোবর, নগরীর বড়কুঠিস্থ কফিবার মাল্টিপ্লেক্স রেস্টুরেন্ট এর হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণকৃত তরুণরা জানান, তাদের কাছে উক্ত কর্মশালাটি অনেক শিক্ষণীয় ও উপভোগ্য ছিল এবং তারা তাদের জীবনে উক্ত কর্মশালার শিক্ষা কাজে লাগাবেন এবং প্রত্যেকেই অঙ্গীকার করেন যে তারা জীবন ও জীবিকার পাশাপাশি তাদের সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজের জন্য কিছু না কিছু করবেন। উক্ত কর্মশালাটি পরিচালনায় আরো সহায়তা করেন বারসিক রাজশাহী রিসোর্স সেন্টারের কর্মী দীনেশ সরেন।
কর্মশালা দুটি পরিচালনা করেন “বারসিক ইন্সটিটিউট ফর এপ্লায়েড স্টাডিজ” (বিয়াস) এর কোর্স কো-অর্ডিনেটর বাহাউদ্দিন বাহার। কর্মশালা দুটির বিষয়ে বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. শহিদুল ইসলাম জানান যে, দীর্ঘদিন থেকেই তরুণরা এই অঞ্চলে নানা ধরনের দৃষ্টান্তমূলক কার্যক্রম করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সুষ্ঠু নেতৃত্ব তৈরির স্বার্থে এই বৈচিত্র্যময় যুব নেতৃত্ব বিষয়ে কর্মশালা নিয়মিতভাবেই প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে এবারই প্রথম সামাজিক দায়বদ্ধতার সাথে যুব নেতৃত্বকে যুক্ত করে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কর্মশালাটি তরুণদের আগামীর কার্যক্রমে তাদের কাজে লাগবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রথম কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে শহরের ৩টি সংগঠন যথা সূর্যকিরণ বাংলাদেশ, ইয়াস ও আদিবাসী ছাত্র পরিষদের ৩৫ জন সদস্য। ২য় দিন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে ‘বরেন্দ্র শিক্ষা সংস্কৃতি বৈচিত্র রক্ষা কেন্দ্রে (বিইসিডিপিসি)’ এর ৩৮ জন নতুন সদস্য।
কর্মশালায় মূলত তরুণদের সমাজের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ও তাদের করণীয় ধাপসমুহ নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এরই নিমিত্তে সমাজে সর্বস্তরে যুব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব সৃষ্টিতে তরুণদের করণীয় ও কার্যকরী ধাপসমুহ আলোচনা করা হয়। সারাদিনের কর্মশালা ছাড়াও তরুণদের জন্য ছিল নানা ধরনের গ্রুপ ওয়ার্ক, গেম, প্রশ্নোত্তর পর্ব ইত্যাদি।