পুষ্টির চাহিদা মেটায় কচুশাক
ভাঙ্গুড়া, পাবনা থেকে মো.মনিরুজ্জামান ফারুক
অবহেলায় বেড়ে ওঠা সবজি কচুশাক। কম বেশি আমরা সবাই কচুশাকের সাথে পরিচিত। পুষ্টিগুণে ভরা এ সবজি যত্রতত্র পাওয়া যায় বলেই হয়তো আমরা খাবারের মেন্যুতে এর গুরুত্ব দিয়ে থাকি না। কচুশাক অন্যান্য সবজির চেয়েও পুষ্টি গুণের দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই।
কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি ও সি, লৌহ, ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। যা মানুষের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। এ সবজি দামেও সস্তা। অল্প আয়ের লোকেরা তাদের খাবারের তালিকায় কচুশাক রেখে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারেন। যাদের রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য তারা নিয়মিত ভাতের সাথে কচুশাক খেতে পারেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে। এ ছাড়া কচুশাক খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। শরীরের হাড় গঠন ও ক্ষয়রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে কচুশাকের রস খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য বেশি উপকারি কচুশাক।
কচুশাক সাধারণত দুই ধরণের হয়- সবুজ কচুশাক ও কালো কচুশাক। সবুজ কচুশাকের চেয়ে কালো কচুশাকে ভিটামিনের পরিমাণ রয়েছে বেশি । জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ কচুশাকে রয়েছে- ৬.৮ গ্রাম শকর্রা, ৩.৯ গ্রাম প্রোটিন,১০ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লেবিন), ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ১.৫ গ্রাম স্নেহ বা চর্বি, ২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৫৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। প্রতি ১০০ গ্রাম কালো কচুশাকে রয়েছে-৮.১ গ্রাম শকর্রা, ৬.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন), ০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লোবিন), ৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২.০ গ্রাম স্নেহ বা চর্বি, ৪৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৭৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি।
কচুশাকের বহু পুষ্টিগুণ থাকলেও আমাদের দেশে এর কদর নেই বললেই চলে। বিশেষ করে পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা না থাকায় এ সবজিটিকে আমরা সব সময় এড়িয়ে চলছি। অথচ কচুশাক দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।