বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষিজ সংস্কৃতি রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ
রাজশাহী থেকে অমৃত কুমার সরকার ও শহিদুল ইসলাম
খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি ও সংস্কৃতি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ভিন্নতা আছে। এই বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জীবন ধারা নতুন প্রজন্মের মধ্যে তুলে ধরতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন নানা পেশাজীবীর মানুষ। গতকাল রাজশাহীর তানোর উপজেলায় উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক, বরেন্দ্র কৃষক বীজ ব্যাংক, তানোর সাহিত্য পরিষদ, বরিনের বাতিঘর এর যৌথ আয়োজনে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি ও সংস্কৃতি রক্ষায় নানা কর্মসূচী ও পরিকলপনা গ্রহণ করেন।
এতে অংশগ্রহণ করেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষক, কবি, সাহিত্যিক, আইনজীবী, উন্নয়ন কর্মী, গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা পেশাজীবীর মানুষ। এ লক্ষ্যে রাজশাহী তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি ও কৃষি কেন্দ্রিক সংস্কৃতি, স্থানীয় জীবন-প্রাণের সংস্কৃতি, বিভিন্ন পেশাজীবীর সংস্কৃতি তুলে ধরতে নিয়মিত লিখার প্রকশের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সিদ্ধান্ত হয় নিয়মিত প্রতি ছয়মাস বা তিন মাস পর পর একটি সাহিত্য প্রকাশনা করা হবে। স্থানীয় বীজবৈচিত্র্য, কৃষি সংস্কৃতি বিষয়ক গল্প, কবিতা, গবেষণা প্রবন্ধসহ নানা দিকগুলো তুলে ধরা হবে। এটি বরেন্দ্র কৃষক বীজ ব্যাংক এর মুখপত্র হিসেবে বিবেচনা করা হবে। উক্ত প্রকাশনায় বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের অধিকার, সমস্যা, সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে দিয়ে নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করা হবে। একই সাথে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকসহ নানা পেশাজীবীর মধ্যে সমন্বয় ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে জানান অংশগ্রহণকারীগণ।
বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনায় কবি মুকুল কেশরি সভাপ্রাধান হিসেবে সভটি সঞ্চালনা করেন। এতে অংশগ্রহণ মতামত প্রদান করেন এ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলাম, কবি মঈন শেখ, কবি নুরুল ইসলাম, কৃষক ইউসুফ আলী মোল্লা, শিক্ষক ও কবি এমদাদুল হক, কবি দিলরুবা নাজনিন, কৃষক আলমাস, বরেন্দ্র অঞ্চলের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ।
সকলে মতামতের ভিত্তিতে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কবি মঈন শেখকে আহবায়ক করে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। আলোচনা শেষে কবিতা পাঠ, বাউল গান পরিবেশন করা হয়।