মানুষসহ সকল প্রাণসত্তার ভালো থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রয়োজন
হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ থেকে সত্যরঞ্জন সাহা
করোনা মহারীতে সারাবিশে^র মানুষ চরম বিপর্যয়ে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য একান্ত প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তা থেকে হরিরামপুরের যুব টিম, পদ্মা পাড়ের পাঠশালা ও বারসিক’র উদ্যোগে কৃষক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। উক্ত মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন হরিরামপুর উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আব্দুল করিম।
মতবিনিময়ে হরিরামপুর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, ‘আমাদের প্রাণ ও প্রকৃতিসহ মানুষকে ভালো থাকতে হলে প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্যের। আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু নিরাপদ খাদ্যের অভাব অনেক বেশি। এখন আমরা সবাই নিরাপদ খাদ্য খেতে চাই। আমাদের চাহিদা ও সকলের ভালো থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। আজকের যুবক ও কৃষকদের উদ্যোগের মাধ্যমেই আগামী দিনে সহজে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদিত হবে। আমরা একটু পরিশ্রম করলে বাড়ির আশে পাশের ময়লা আবর্জনা পচিয়ে জৈব সার তৈরি করতে পারি। যে জৈব সার দিয়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে হবে। আমরা বাড়িতে যেমন নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন করে থাকি তেমনি মাঠেও আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে নিরাপদ খাদ্য তৈরি করার জন্য।’
কৃষক গবেষক ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদক হরিরামপুর মানিকগঞ্জের শহীদ বিশ^াস, জয়ন্তি দাস, শাজাহান মিয়া বলেন, ‘আমরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করি ও অন্যদেরকে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে সহায়তা করি। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে জৈব সার বা গোবর সারে ফসল ভালো হয়। ফসলের উৎপাদন খরচ কম। নিরাদ খাদ্যের চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে দাম বেশি পাওয়া যায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো নিজ হাতের বীজ, বাড়ির জৈব সার ও নিজের পরিশ্রমের উৎপাদিত ফসল ভালো হয় ও লাভবান বেশি হওয়া যায়।’
হরিরামপুরের পদ্মা পাড়ের পাঠশালা পরিচালক মীর নাদিম হোসেন, হরিরামপুর স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্য তরিকুল ইসলাম, মারুফ হোসেন জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি, আমাদের সমন্বিত উদ্যোগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করব। আর আমাদের কৃষিভিক্তিক পরিবারকে নিজ অংশগ্রহণে সহযোগিতা করব। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমাদের প্রচার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা ছোট আকারে কাজগুলো শুরু করব। আস্তে আস্তে বড় করব। মহামারী করোনাসহ আমাদের বাঁচতে হলে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আমরা বিশ^াস করি, যুবগণ উদ্যোগের মাধ্যমেই সহজে সফল হওয়া যাবে। আমরা পরিবেশকে ভালো রাখব ও জৈব সার তৈরি করব।’