দুর্যোগে টিকে থাকার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা
সাতক্ষীরা শ্যামনগর থেকে রুবিনা রুবি
প্রতিনিয়ত মানুষ সময় এবং পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে নিজেদের বদলে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তেমনি উপকূলবাসীও নিজেদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করছেন নিজেকে এবং তার চারপাশের পরিবেশকে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা প্রতিনিয়ত নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করে নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদে তৈরি করছে নানা রকম কৌশল।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বেতাঙ্গী গ্রামের কৃষাণী অনিতা রানী মন্ডল। তিনি সবজি চাষে বেশ আগ্রহী এবং সবজি চাষ করেই তিনি পরিবারের খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে সবজি বিক্রি করে বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু নিয়মিত প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো তাঁর নিচু সবজি ক্ষেত।
এ ক্ষুতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য অনিতা রানী তৈরি করেন নতুন কৌশল। তিনি বলেন, ‘আমার মাছের ঘের আছে,ঘেরে মাছের পোনা ছাড়ার জন্য মাছ কিনি ককসেটে করে। মাছ ছাড়ার পর ককসেটটি ফেলে দিতাম আগে যেখানে ফেলতাম কয়েক বছর পরেও দেখতাম তা মাটির সাথে মিশে না এবং পোড়ালে অতিরিক্ত ধোঁয়া ছড়ায় সেটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমি চিন্তা করলাম এগুলো নতুন করে কাজে লাগানোর। যেহেতু কয়দিন পরপর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আমার সব সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই আমি এই ককসেটে মাটি ভরে জৈব সার প্রয়োগ করে মাটি জো করে ককসেটের মধ্যে এখন সবজি লাগিয়েছি। এখন বৃষ্টি হলে নষ্ট হয়না। সারাবছর কম বেশি সবজি হচ্ছে এখন। ঝাল, আদা পাতি লেবু এসব হচ্ছে ককসেটে ‘
অনিতা রানী আরও বলেন, ‘আমি আগে বস্তায় মাটি ভরে সবজি লাগাতাম কিন্তু দেখা যায় কিছু দিন পর বস্তা নষ্ট হয়ে যায় এবং মাটি ও আর থাকে না। এজন্য আমি ককসেট ব্যবহার করছি। একদিকে আমার সবজি ও উৎপাদন হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকছে।’