একটি গোলাপ ফুলের গ্রাম
মোঃ মতিউর রহমান
ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়ার সাদুল্লাহপুরে বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে গোলাপ গ্রাম। গ্রামের আঁকাবাঁকা সরু রাস্তার দু’পাশ দিয়ে যতদূর চোখ যায় শুধু গোলাপ ফুলের অবস্থানই চোখে পড়ে। মূলত গোলাপ ফুলের জন্যই এই গ্রামটিকে গোলাপ গ্রাম বলা হয়ে থাকে।
ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক এই গোলাপ ফুল। ফুল প্রেমী এবং ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য গোলাপ গ্রাম এক উৎকৃষ্ট স্থানে পরিরণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এখানে ভীড় জমায় গোলাপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে৷ দর্শনার্থীদের ভীড়ে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে এ গ্রামটি। গোলাপ গ্রামকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা দর্শনার্থীদের জন্য চটপটি ফুচকাসহ নানান রকমের মুখরোচক খাবারের দোকান গড়ে তুলেছেন।
এতে স্থানীয়দের মাঝে বেকারত্বের অভিশাপ দূর হয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। পুরো গ্রাম ছেয়ে আছে মিরিন্ডা জাতের গোলাপ৷ লাল, হলুদ, সাদাসহ নানা বর্ণের গোলাপের সন্ধান মেলে এ গ্রামটিতে। গ্রামটি গোলাপ গ্রাম হলেও এখানে গোলাপ ছাড়াও অন্য ফুলও পাওয়া যায় যেমন জারভারা, গ্লাডিওলাস। ফুল চাষীরা খুচরা ও পাইকারী দুই প্রক্রিয়ায় গোলাপ বিক্রি করে থাকেন। ঢাকার শাহবাগসহ আশেপাশের ফুল বিক্রেতারা এখানকার ফুলচাষীদের কাছ থেকে পাইকারী মূল্যে ফুল সংগ্রহ করে থাকেন। এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরাও ফুল বিক্রেতাদের কাছ থেকে ফুল ক্রয় করে থাকেন।
শহরের যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু বিশ্রামের জন্য এবং মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য ভ্রমণ পিপাসু মানুষরা ছুটে আসেন এই গ্রামে। সপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতে দর্শানার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায় এই গোলাপ গ্রামে। প্রায় সব বয়সের মানুষই ঘুরতে আসেন এগ্রামে এবং উপভোগ করে থাকেন গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য। দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে গোলাপ গ্রাম এবং দর্শনার্থীদের মাঝেও বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে এর প্রসার ঘটছে। এতে ফুল চাষীরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন অধিক বিনিয়োগে।
মোঃ মতিউর রহমান, লাইব্রেরি কর্মকর্তা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।