কৃষক-কৃষাণীর রং তুলিতে বৈচিত্র্যময় প্রাণ…
মানিকগঞ্জ থেকে অনন্যা মীম
বারসিক’র উদ্যোগে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রাণ বৈচিত্র্য দিবস উদযাপিত হয়েছে বায়রা ইউনিয়নের স্বরুপপুর গ্রামে। উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্বরুপপুর গ্রামের কৃষক, কৃষাণীরা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সমন্বয়ক শিমুল কুমার বিশ্বাস এবং সহযোগিতা করেন প্রোগ্রাম অফিসার শাহিনুর রহমান, সঞ্জিতা কির্ত্তুনীয়া প্রমুখ।
প্রাণবৈচিত্র্য চিহ্নিতকরণ ও সংরক্ষণে আমাদের ভূমিকা শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা করেন প্রোগ্রাম অফিসার শিমুল কুমার বিশ^াস। মূলত তিনি তাঁর বক্তব্যে কৃষাণ-কৃষাণীদের অংকিত বিভিন্ন প্রাণবৈচিত্র্যর উপাদানগুলো নিয়েই আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানের অন্যতম বিষয় ছিলো এই কৃষাণ-কৃষাণীদের চিত্রাংকন। তাদের রং তুলিতে যে সকল প্রাণের চিত্র ফুটে উঠেছে, সে সকল প্রাণের উপকারিতা ও সংরক্ষণে আলোচনা করেন শিমুল কুমার বিশ্বাস। তিনি কৃষক, কৃষাণীর চিত্রে যে সকল প্রাণের ছবি ছিলো, সেগুলো আমাদের কী কাজে ও কী উপকারে আসে জানতে চাওয়া হলে স্বরুপপুর গ্রামের কৃষাণী মিতু রাণী (৩৩) বলেন, ‘আমি মৌমাছি, শামুক, সাপ, প্রজাপতি, খেজুর গাছ এঁকেছি এবং এরা সবাই কোন না কোন ভাবে আমাদের উপকার করে। মৌমাছি এবং প্রজাপতি পরাগায়ন ঘটায় বলে আমরা মধু, ফুল, ফল ও ফসল পাই। সাপ ক্ষতিকর পোকামাকড় খায় এবং খেজুর গাছ থেকে আমরা রস, খেজুরের গুড় ও ফল পাই।’
নমিতা রাণী (৩৮) গাছের ছবি আঁকেন। তিনি বলেন, ‘গাছ আমাদের জীবন দেয়, গাছ থেকে ফুল, ফল, কাঠ ও ছায়া পাই।’ কৃষক তাপস অধিকারী (৫৫) বলেন, ‘আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে সবই উপকারী। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনা, না বুঝে আমরা কৃষি কাজে সার, বিষ ব্যবহার ও অন্যান্য কাজ করতে গিয়ে এই প্রাণগুলো মেরে ফেলি। ফলে আমরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এসকল জীবজন্তু রক্ষায় আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার দিয়ে ফসল উৎপাদন করতে হবে।’