সুশীল বিশ্বাসের বৈচিত্র্যময় কৃষি চর্চা

ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
স্থায়িত্বশীল কৃষি চর্চার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন কৃষক সুশীল বিশ^াস ও তাঁর স্ত্রী দূর্গা রানী বিশ^াস। তাদের বাড়ি ঘিওর উপজেলার নি¤œঅঞ্চলের কুন্দুরিয়া গ্রামে। সুশীল বিশ^াসের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে তারা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে করে বেছে নিয়েছেন কৃষিকাজকে। সুশীল বিশ^াস তাঁর বাড়ির সামনের পালানে সারাবছর জৈবভাবে সবজি চাষের চর্চা করছেন। সুশীল বিশ^াস বলেন, ‘আমার লাউ দেখে গ্রামের ও অন্য গ্রামের কৃষকরা লাউয়ের বীজ চেয়েছেন।’


সারাবছর তিনি বাড়িতে সবজি চাষ করেন। বেগুন, মরিচ ও পেঁপে বছরজুড়ে চাষ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি মৌসুমের জন্য বীজ ও সংরক্ষণ করি। এ বীজ পাড়ার ও প্রতিবেশীদের মাধ্যে বিনিময় করি। এছাড়াও আমার এ সবজি চাষ আমি জৈব পদ্ধতিতে করে থাকি। বাড়িতে গরু থাকায় যেমন গোবর ব্যবহার করি তেমনিভাবে কেঁচো সারও তৈরি করে তা ব্যবহার করি। আমার জৈবচর্চা কৃষিকাজ দেখে নিজ গ্রামের পাঁচজন জৈব কৃষিচর্চা করছেন।’
প্রতিবেশীরা সুশীল বিশ^াসের বাড়ির উঠানে ধান শুকানো, বসতবাড়ির কোন জায়গা পতিত না রেখে ফসল ফলানোর মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করে চলছেন এবং নিজেকে শত রকমের কাজের সাথে যুক্ত করছেন। তিনি চিরায়ত ঐতিহ্য ও জ্ঞানে কৃষিপদ্ধতির উপর গুরত্বারোপ করে আচার অনুষ্ঠান, উৎসব, পার্বণ ও খাদ্যাভাস মৌসুমভিত্তিক ফসল উৎপাদনে সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেন।


সুশীল বিশ^াস বলেন, ‘আমার বাড়ি ও পালানে নানান ধরনের বৈচিত্রময় ফসল আছে। আমার বাড়িতে মৌসুমভিত্তিক বারোমাস সবজি চাষ হয় যেমন: ডাটাশাক, পুঁইশাক, কালো কচু, দুধ কচু, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, পালংশাক, দেশী আলু, বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, বাড়ির পালানে ঝংলা দিয়ে দেশী লাউ, উস্তে, বরবটি, শসা, কুমড়া, ঝিংগা ইত্যাদি। মাঠের জমিতে খেশারী ও আমন মৌসুমের গভীর জলের ভাওয়্যালা ও জুলদিঘা ধান চাষ করেন।

happy wheels 2

Comments