‘বিলদুবইল বিলে এবার সোনা ফলানোর স্বপ্ন’
তানোর রাজশাহী মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ
বিলের পাড়ে গ্রামটির নাম বিলদুবইল, অনেকে মনে করেন গ্রামের নামের সাথে বিলটির নামকরণ করা হয়েছে। বিলদুবইল নামে পরিচিতি পেলেও কাগজে রয়েছে (বিল ভর্তি) নামে। পাশে আরও দুটি বিল রয়েছে ‘খড়িয়াকান্দির বিল’ ও ‘রিশিকুলের বিল’। এই বিলদুবইল বিলে কৃষকরা এবার সোনা ফলানোর স্বপ্ন দেখছেন। ‘বিলদুবইল’ বিলটি রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নে অবস্থিত।
এলাকাবাসী জানায়, ‘বিলদুবইল বিলে বর্ষা মৌসুমে প্রায় ২০০০ বিঘা জমি আষাঢ় থেকে আস্বিন মাস পর্যন্ত বৃষ্টির পানি জমে ডুবে থাকে। ফলে বর্ষায় কৃষকরা আমন ধান চাষ করতে পারে না। খরা মৌসমে কৃষকরা বোরো ধান চাষ করেও আশংকায় থাকতে হয়গ ভারি বৃষ্টিতে মাঠের ধান তলিয়ে যায় কিনা। এভাবেই প্রকৃতির সাথে বিলদুবইল ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষরা ফসল ঘরে তোলার সংগ্রাম করে থাকেন।
কিন্তু এবছর কৃষকরা খুবই আশাবাদী আর কৃষকদের মনে আনন্দের আভাস দেখা দিয়েছে যে তারাও এবার ধান ঘরে তুলতে পারবেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি রয়েছে মনুষ্য সৃষ্ট নানান সংকট এ প্রসংঙ্গে কৃষক জহির উদ্দিন (৫৫) বলেন, এই বিলে স্থানীয় সম্পদশালীরা ছাড়াও রাজশাহী শহরের অনেকে জমি ক্রয় করেছেন। বিগত পাঁচ বছর আগে বর্ষায় বিল সহ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ঐ এলাকার খাল খনন করা হয়েছে। খরা প্রবণ এলাকা বলে পানি ধরে রাখার জন্য খালের মুখে সিমেন্টের বাঁধও নির্মাণ করা হয়। ফলে কৃষকদের খরার সংকট কাটলেও বিলের সংকট থেকেই যায়।’
এ সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য খড়িয়াকান্দির আজিজুল হক ও কয়েক জন গন্যমান্য ব্যক্তি সহ চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। চেয়ারম্যান, বরেন্দ্র ইঞ্জিনিয়ার ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তি সহ পর্যবেক্ষণ করেন এবং এলাকার মানুষের মতামত গ্রহন করেন। তার ভিত্তিতে উক্ত বাঁধটির কিছু অংশ অপসারণের উদ্যোগ গ্রহন করেন। এলাকার কৃষকদের প্রয়োজনে চলতি এবছরের এপ্রিল মাসে সিমেন্টের বাঁধের তিন ফিট অপসারন করা হয়।
এই সকল উদ্যোগের কারণে স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন তারা সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। জলাবদ্ধতা ও কৃত্রিম সংকট দূর হয়ে মানুষ আরো উদ্যোগী হবে কৃষিকাজে।