পুষ্টিতে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত হোক

মানিকগঞ্জ থেকে গাজী শাহাদাত হোসেন

নারী-পুরুষের পুষ্টিগত বৈষম্য দূর করি, বসতবাড়িতে ফলজ ও সবজি বাগান তৈরি করি, পারিবারিকভাবে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করি এবং বৈশি^ক মহামারী মোকাবেলায় পতিত জায়গা সঠিক ব্যবহার করি’- এই স্লোগানগুলোকে সামনে রেখে কৈতরা নতুন পাড়া কৃষক কৃষাণী সংগঠনের কৃষাণীদের উদ্যোগে ও বারসিক’র সহযোগিতায় আলেয়া বেগমের বাড়িতে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত হয়েছে সম্প্রতি। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও নারীদের গ্রামীণ খেলাধুলা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করা হয়।


আলোচনা সভায় শিল্পী আক্তার বলেন, ‘বর্তমান সংকটকালীন মূহুর্তে আমরা বাইরের খাবার খাবো না, নিজেরা বসতবাড়িতে রোপণ করে খাবো। তাহলেই ভালো থাকবো।’ উইসুফ আলী বলেন, ‘আমরা পুরুষের পাশাপাশি নারীদের পুষ্টির গুণগত মান সমান রাখবো।’ তাহলেই আমরা ভালো থাকবো। কারণ দুহাত ছাড়া এক হাতে কাজ করা যায় না।’ কমল চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘সবুজ বাংলাদেশ গড়বো বসতবাড়িতে সবজির বাগান করবো। এক একটি বাড়ি পুষ্টির ঘাটি, নারী-পুরুষের সমতা পুষ্টির একমাত্রা। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নিজের বাড়িতে রোপণ করে খাবো। তাহলে আমাদের টাকা বাঁচবে আমরা সুস্থ থাকবো।


অন্যদিকে আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বাড়ির শোভা বাগ বাগিচা এই অর্থ হলো আমরা যদি ফুল, ফল, ঔষুধি ও সবজির বাগানে বাড়িটিকে সাজিয়ে রাখি তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দয্য বাড়বে। পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার পাওয়া যাবে। পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অবশিষ্ট অংশ বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যাবে। নারীদের হাতে টাকা আসবে, নারী ক্ষমতাবান হবে, সংসারে নারীর গুরুত্ব বাাড়বে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মতামতের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এক একটি বাড়িকে পুষ্টির ঘাঁটি বানাতে হবে। তাহলে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবো।’


আলোচনা শেষে উপস্থিত সকলেই একমতে উপনীত হয় যে, সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফলজ ও সবজির বাগান তৈরী করবে।

উল্লেখ্য, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও চোখ বেঁধে পাতিল ভাঙার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। খেলা দুটিতে ৩০ জন করে নারী অংশগ্রহণ করেন।

happy wheels 2

Comments