মানিকগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মানিকগঞ্জ থেকে গাজী শাহাদত হোসেন বাদল ও নজরুল ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হোক আজ ও আগামী প্রজন্ম। আর এই প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবোধে জাগ্রত করার প্রধান কারিগর হলো শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বর্তমান সরকার সৃজনশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে সহশিক্ষাকেও বাধ্যতামূলক করেছে। DSC01087এখন প্রতিটি বিদ্যালয়ে রয়েছে চারুকলা, শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার উপর পাঠ্যবই আর তাতে রয়েছে সৃজনশীলতার বিভিন্ন ছাপ। সরকারের এ সকল মহতী উদ্যোগ নেওয়ার পরও শিক্ষার বানিজ্যিকীকরণের ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ফলাফলমূখীই থেকেই যাচ্ছে। শিক্ষাকে সত্যিকার অর্থে আনন্দময় ও সৃজনশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনগুলোও নিরলসভাবে কাজ করছে। মানিকগঞ্জে বেসরকারি সংগঠনগুলোর মধ্যে গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান বারসিক এরমধ্যে অন্যতম।

সম্প্রতি (২৫ মার্চ) জেলার সদর উপজেলাধীন বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন পরিষদের বেথুয়াজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ৪০ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাঁশের সাকোর পরিবর্তে ব্রিজের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

DSC01076
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মীর গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের মতো কঠিন বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন দেখে আমি অভিভূত। তারা ভালো করেছে এবং আরো ভালো করে তারা দেশপ্রেমিক নাগরিক হবে।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বিদ্যালয়ের পাশে যে বাঁশের সাঁকোটি রয়েছে তা আগামী অর্থবছরেই আশা করি ব্রিজে পরিণত হবে।”

সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফা বেগম, সহকারি শিক্ষক হাছনা আক্তার, ডেইজি আক্তার, লক্ষ্মী রানী রায়, বারসিক কর্মকর্তা গাজী শাহাদত হোসেন বাদল ও নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

happy wheels 2

Comments