বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অভাবনীয় গতি
মানিকগঞ্জ থেকে এম আর লিটন
মানবজীবনের প্রতিটি শাখা আজ বিজ্ঞানের বহুবিধ অবদানে সমৃদ্ধ। যাতায়াত, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রকৌশলসহ মানবসহ মানবজীবনের সবক্ষেত্রে বিজ্ঞানের রয়েছে অপরিহার্য ভূমিকা। বিজ্ঞানকে এখন বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে আর বিশদভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অভাবনীয় গতি,সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে করেছে দ্রুততর ও বহুমাত্রিক। বিজ্ঞান ঘুচিয়ে দিয়েছে দূর-দূরান্তের ব্যবধান;মানুষকে দিয়েছে অনিঃশেষ সম্ভাবনা।
এখন বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রচারের মাধ্যমে রেডিও টেলিভিশন শিক্ষার মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। কম্পউটার বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত করেছে এক নতুন শিক্ষাপদ্ধতি। চিকিৎসা–ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সাফল্যগুলোও কম বিস্ময়কর নয়। জন্মপূর্ব রোগ নির্ণয়ের সাফল্যর ক্ষেত্রে বড় রকমের উত্তরণ ঘটেছে। জিন–প্রতিস্থাপন চিকিৎসা প্রয়োগিক ক্ষেত্রে এক বিশাল সম্ভাবনা হাজির করেছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আলোকবস্তু নিয়ে এসেছে নতুন প্রযুক্তি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন করা হচ্ছে কম্পউটারের তথ্যাবলি। এককথায় বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি সারাবিশ্বকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।
বিদ্যুৎ পৃথিবীর দূরত্ব ঘুচিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের কল্যাণে রাতারাতি সংবাদপত্র মুদ্রিত হয়। টেলিফোন, মোবাইলফোন, ইন্টারনেটের সাহায্যে মূহু্র্ত দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যোগাযোগ করা যায়, তথ্য আদান–প্রদান করা যায় । ২০০৮ সালে বিশ্ব বিজ্ঞান মেলা নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত একটি বিজ্ঞান মেলা ছিল। এই মেলাটি (২৮শে মে – ১লা জুন, ২০০৮) মূলত প্যানেল আলোচনা এবং মঞ্চে কথোপকথনের মাধ্যমে আয়োজিত করা হয়েছিল, যেখানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে খেলাধুলার মতো বিষয়সমূহ একটি যুব ও পরিবার কর্মসূচীতে উপস্থাপন করা হয় এবং তা একটি ব্যাপক পথ-মেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে রাখে। বিজ্ঞানের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অভিনেতা ও লেখক অ্যালেন আলদার নেতৃত্বে শিল্পের উপর দৃষ্টিপাত করে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। উৎসবটির সাথে একটি ‘বিশ্ব বিজ্ঞান সম্মেলন’ ও অন্তর্ভুক্ত, এমনকি এটি বিজ্ঞান, রাজনীতি, প্রশাসন, এবং ব্যবসার জগত থেকে উচ্চ-পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীদের একটিসভায় অন্তর্ভুক্ত করে।
এরপর থেকে সারাবিশ্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা পালিত হয়। এর ধরাবাহিকতায় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনিক আয়োজনে ৯-১১ মার্চ তিনদিন ব্যাপি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা তত্ত্বাবধান করে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। মেলায় সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক স্টল অংশগ্রহণ করে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করা হয়। ১১মার্চ পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে মেলার সমাপ্ত হয় ।