মানিকগঞ্জে শ্রম বেচাকেনার হাট

মানিকগঞ্জ থেকে আব্দুর রাজ্জাক  

সারাদেশে এখন বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক। কাজের খোঁজে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ছুটছে দরিদ্র শ্রমিকরা। তেমনিভাবেই মানিকগঞ্জের বোরো চাষীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ফসলি জমিতে। প্রতিবছরের মতো এ সময়টাতে শ্রম বেচাকেনার হাট বসে মানিকগঞ্জ হকার্স র্মাকেটের সামনে।

সরজমিন গতকাল (১১ ফেব্রুয়ারি) সেখানে গিয়ে দেখা যায়, চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দাম নিয়ে কষাকষী করছেন শ্রম কিনতে আসা চাষীরা। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পৌর হকার্স র্মাকেটের সামনে প্রায় হাজার খানেক শ্রমিক বসে-দাঁড়িয়ে আছেন। কথা আর দামে মিললে চলে যাচ্ছেন চাষীর সাথে ফসলের জমিতে। দাম একটু চড়া হলেও বাধ্য হয়ে তাদের কাজে নিচ্ছেন চাষীরা। কারণ ফসল রোপণের সময় শ্রমিক পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ৫০০ টাকা ব্যয় করেও শ্রমিক পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়।

Manikgonj-Pictures-2
নাটোরের লালপুর উপজেলা থেকে আসা শ্রমিক আরশেদ মিয়া বলেন, “ গ্রামে রিকশা চালাই। এখন হামার (আমার) এলাকায় তেমন কোন কাজ নাই। এ জন্য গ্রামের লোকদের সাথে মানিকগঞ্জে কাজ করতে আসছি।” মাস খানেক কাজ করার পর আবার দেশে চলে যাবার কথা জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে আসা শ্রমিক রশিদ মোল্লা বলেন, “আমি দেশে কৃষি কাজ করি। আমার জমিতে ধান লাগানো শেষ, বাড়িতে বসে না থেকে মানিকগঞ্জে আসছি কাজ করার জন্য। এ পর্যন্ত দুই জনের জমিতে কাজ করছি।”

এ বিষয়ে হাসলী এলাকার চাষী কোব্বাত মিয়া বলেন, “এবার বেশি টাকা দিয়ে বীজ কিনতে হয়েছে আমাদের। অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও চড়া। জমিতে সেচ দিতে দ্বিগুণ টাকা দিতে হচ্ছে আমাদের। জমি প্রস্তুত ও বোরো ধানের চারা রোপণের সময় অতিরিক্ত টাকা দিয়ে শ্রমিক নিতে হচ্ছে। একেকজন শ্রমিক নিচ্ছি ৩৫০ টাকা দিয়ে। তাদের খাওয়া ও আনুসঙ্গিক খরচ হচ্ছে আরো শতখানেক টাকা।”

ঘিওরের রাধাকান্তপুর গ্রাম থেকে আসা কৃষক মুন্নাফ মিয়া বলেন, “দিন যায় আর সব কিছুরই দাম বাড়ে। যদি ফসল ভালো হয় এবং দামটা ভালো হলে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবো।”

happy wheels 2

Comments