নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে
হরিরামপুর থেকে মুকতার হোসেন
হরিরামপুর উপজেলা লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নে হরিহরদিয়া গ্রামের আছমত আলীর বাড়িতে স্থানীয় কৃষক সংগঠনের আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে খাদ্য উৎসব ও রান্না প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য উৎসব মেলায় ৭ জন কৃষাণী তাদের বাড়িতে হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল প্রদর্শন করেন। খাদ্য উৎসব অনুষ্ঠানে দেখতে ভিড় জমায় গ্রামের কোমলমতি শিশু, শিক্ষার্থী, কৃষাণ-কৃষাণী, ব্যবসায়ী, মৎস্যজীবী, প্রবীণ ব্যক্তি, তরুণ-তরুণী এবং লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের দুইজন স্বাস্থ্য সহাকারীসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।
উক্ত স্টলগুলোতে শুধূ আউশ ধানের চাল থেকে তৈরি খাদ্য সামগ্রী উপস্থাপন করা হয়। খাদ্য উৎসবে কৃষাণী বিথী, রাজিয়া, হালিমা, জহুরা, আয়শা, সানজিদা, কমেলা তাদের তৈরীকৃত খাবারগুলো যেমন চিতই পিঠা, ছিট রুটি, বিস্কিট পিটা, পান পিঠা, ফুল পিঠা, বরা পিঠা, তেল চাপড়ী, কুলি পিঠা, নাড়ু, হালুয়া, খিচুরী, জাউ, মুড়ি, চিড়া, কুলি পিঠা উপস্থাপন করেন।
খাদ্য উৎসবে শুধু আউশ ধানের তৈরী সকল খাবার তৈরি করা হয়। চরাঞ্চলে বিশেষ করে হরিহরদিয়া, গঙ্গাধরদি, সেলিমপুর, জয়পুর এসব এলাকাগুলো আউশ ধান চাষ হয়। সঙ্গত কারণেই কৃষকরা আউশ ধানকে কেন্দ্র করে এই খাদ্য উৎসব এর আয়োজন করেন। এই প্রসঙ্গে হরিহরদিয়া গ্রামের কৃষক নান্নু প্রামাণিক (৫৫) বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আউশ ধান আমরা চাষ করি, আউশ ধানের চালের ভাত আমরা খাই। এই ধান চাষ করতে আমরা কোন প্রকার রাসায়নিক সার, বিষ ব্যবহার করি না। তাই আজকে এই খাদ্য মেলা বা খাদ্য উৎসব নিরাপদ খাদ্য উৎসব হিসেবে মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই খাদ্য উৎসব আয়োজনের মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের উপকারিতার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে। অপরদিকে এলাকায় কৃষকদের মধ্যে আউশ ধান চাষ সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’ হরিহরদিয়া গ্রামের কৃষাণী বিথী আক্তার বলেন, ‘আজকের খাদ্য উৎসব মেলার মধ্যে দিয়ে বাজারে তৈরি খাবারের যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তা জানতে পারলাম। পাশাপাশি নিজ বাড়িতে পারিবারিক খাবারের গুরুত্ব অনেক বেশি তা জানতে পারলাম।’