রাজশাহীতে বৈচিত্র্যময় ফুলের মেলা
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
ফুলকে না ভালোবাসে। ফুলের ফুল আর ফুলের সুবাস নিয়ে কতো কবিতা আর সাহিত্য রচনা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীকই নয় এই ফুল মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীরও উপকারে আসে। মৌমাছি ফুলের মধু আহরণ করে তার চাকে সঞ্চিত করে থাকে। সেই মধু মানুষের অন্যরকম স্বাদময় একটি খাদ্য।
সাম্প্রতি রাজশাহীতে সপ্তাহব্যাপী পুষ্প মেলার আয়োজন করা হয়েছিলো। রাজশাহীর মনিবাজার নানকিং দরবার হলের পাশেই এই পুষ্প মেলা বসে। রাজশাহী বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পুষ্প প্রেমী নার্সারীর মালিকগণ এই মেলায় নানা জাতের ফুল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
এবার ২০ জন নার্সারী মালিক ২০টি স্টলে সেগুলো প্রদর্শন করেন। সাথে সৌখিন ফুল উৎপাদকগণও অংশগ্রহণ করেন। এবার মেলায় সর্বোচ্চ ১৫০ প্রজাতির ফুল প্রদর্শন করেন ফুল উৎপাদক ও বিক্রেতা আশাউর রহমান রনি। রাজশাহীর বৈকালি সংঘ দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশী সময় থেকে এই মেলার আয়োজন করে থাকে।
বৈকালি সংঘের সিনিউর অলিম্পিয়াড খন্দকার আকিব জাবেদ বলেন, ‘এটি শুধু ফুলেরই মেলা নয়, এই মেলার মধ্যে দিয়ে আমরা শিশুদের ফুল চিনিয়ে থাকি। তারা মেলায় এসে ফুল চিনে থাকে।
সাথে আমরা শিশুদের নিয়ে নানা আয়োজন করে থাকি। তার মধ্যে চিত্রাংক, রচনা, কবিতা, ছড়া, নৃত্যর প্রতিযোগীতা করে থাকি।
তিনি আরো বলেন, ‘শিশুরা ফুলের সুবাসের মধ্যে দিয়ে নিজেরা বিকশিত হবে এবং ফুলের মতো পবিত্র হয়ে এই দেশ এবং দশের উপকারে আগামীতে ভূমিকা রাখবে।’