পরিবারে নারীদের সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে হবে
মানিকগঞ্জ থেকে মো. নজরুল ইসলাম ও আছিয়া আক্তার
‘টেকসই অবকাঠামো সেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ নারী ও কিশোরীর জেন্ডার সমতা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত কর’-এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে সারা দেশেই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস।
তারই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জ সিংগাইর অঞ্চলের বায়রা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে নারয়ণ চনদ্র সরকার (মাস্টার) এর বাড়িতে শিবপুর নারী উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে বারসিক’র সহযোগিতায় এ দিবস পালিত হয়েছে। দিবস পালনের উপলক্ষে গ্রামীণ খেলাধুলা, এবং কিশোরীদের সুই, সুতা খেলা ও পুকুর পাড় খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অঙ্গরাণী মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বায়রা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত সদস্য নাসরিন আক্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বায়রা ইউপি সদস্য ফরসেদ আলম, সাবেক ইউপি সদস্য গোবিন্দ চন্দ্র সরকার, প্রবন্ধ পাঠ করেনর মাধবী লতা সেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বারসিক’র মো. নজরুল ইসলাম, শহীদ রফিক যুব স্বেচ্ছাসেবক টিমের আহবায়ক আশিষ কুমার সরকার, বারসিক মাঠ সহায়ক রিনা আক্তার ও আছিয়া আক্তার প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘একজন নারী পুরুষের তিন গুণ বেশি কাজ করেও পরিবার ও সমাজে অবহেলিত কেন? আধুনিক এই সমাজে ধর্মীয় কুসংস্কারের বেড়াজালে অন্তরিন করে রাখা হয়েছে কেন? নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কেন, নারী ও শিশু প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হয় কেন? এ রকম অসংখ্য প্রশ্ন আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়। এগুলোর উত্তর এই আয়োজনে আমরা দিতে পারব না। তবে এই প্রশ্নগুরো জারি রাখতে হবে নীতি নির্ধারকদের মাঝে, নারীকে সংগঠিত হতে হবে, আওয়াজ তুলতে হবে। আমরা কিছু প্রত্যয় করতে পারি যে, পরিবারে আমরা নারীর অবমাননা করব না, সমমর্যাদা, সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে কৃপণতা করব না। তবেই পরিবার সমাজে কিছুটা হলেও শান্তি ফিরে পাবে।’