শিশুদের কাব্যে ও চিত্রে নতুন বাংলাদেশ
মানিকগঞ্জ থেকে কমল চন্দ্র দত্ত ও ঋতু রবি দাস
‘মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জিবিত হোক আগামী প্রজন্ম’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারের সহযোগী এনজিও বারসিক ও দলিত শিশু শিক্ষা পরিবারের যৌথ উদ্যোগে গত ১৬ ডিসেম্বর প্রভাতে শহীদ ও আত্মত্যাগী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মানিকগঞ্জ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সাথে সৃজনশীল কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তিতে নারী পুরুষের সামাজিক ন্যায্যতা ও বহুত্ববাদি সমাজ বিনির্মাণে আমাদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা শীর্ষক মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাংকন,আবৃত্তি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উন্নয়নকর্মী ও নারী নেত্রী রাশেদা আক্তারের সভাপতিত্তে¡ বারসিক কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে গল্পমূলক আলোচনা রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি এ্যাড.দীপক কুমার ঘোষ। শিশুদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের গল্পমুলক আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ’র জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সমাজকর্মী ইকবাল হোসেন, বারসিক হিসাব রক্ষক নিতাই চন্দ্র দাস,সমায়েল হাসদা প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তরা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার ফারাক অনেক। তারপরও আমরা বিনামূল্যে একযোগে সারাদেশে বই পাই। আমরা শহীদ মিনারে বিজয় দিবস,শহীদ দিবস পালন করতে পারি। কৃষক শ্রমিক ও প্রবাসীদের কঠোর পরিশ্রমে খাদ্য ঘাটতি ঘুচিয়ে স্বয়ংসম্পুর্ণ হয়েছি। জিডিপি প্রায় তিনগুণসহ মাথাপিছু আয় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকার এর দূরদুর্শীকতায় ডিজাটাল বাংলাদেশ পেয়েছি।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘তবে সবচেয়ে পড় অপ্রাপ্তি হলো সমাজ ক্রমশই সাম্প্রদায়িক ও অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। মানবিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন তলানিতে। এগুলো ঘুচিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে অবশ্যই স্বাধীনতা বিরোধী রাজকার আলবদরদের উত্তরসূরীরা পরাজিত করতে পারবো। আমরা বিজয়ের এই রক্ত¯্রােতে দাড়িয়ে শপথ করতে চাই একটি বহুত্ববাদি নারীবান্ধব সমাজের।’