বাঁশবেতের পাশাপাশি নিরাপদ সবজি চাষ করেন তাঁরা
রাজশাহী থেকে রিনা টুডু
মুন্ডুমালা মিশন পাড়া গ্রামের হাবিল হেমব্রোম ও তার স্ত্রী কস্তানতিনা। তারা মাহালি সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। তাদের পরিবারের সদস্য ৯ জন। তাদের প্রধান পেশা বাঁশ বেতের কাজ। বাঁশ দিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করেন। তাঁরা বাঁশ থেকে টুপা, সরপস, সাজি, কুলা, ঝাকা, ধান বাতাস দেওয়া কুলা ইত্যাদি। এসব জিনিসপত্র তৈরি ও বিক্রি করেই তারা জবিকা নির্বাহ করেন।
কিন্তু দিনে দিনে নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা খুব সংকটে পড়ছেন। এছাড়া বেশি দামে বাঁশ কিনে জিনিস বানিয়ে , জিনিসের ন্যায্যা মূল্য পাননা! এতে করে তাদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া আয় কম হওয়ায় তারা তাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হিমসিম খাচ্ছেন। প্রতিদিন ৯ সদস্যের পরিবারের সবজি কিনে ও রান্না করতে হয়। এসব সবজি বাজার থেকে কিনতে হয় বলে আয়ের একটা অংশ সেখানে চলে যায়।
তাই পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার জন্য তারা বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ২ কাঠা জমি লিজ নিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন। বারসিক তাদের বিভিন্ন ধরনের সবজির বীজ দিয়ে সহযোগিতা করে। এছাড়া সবজি চাষের কারিগরি বিষয়েও তাদের সাথে আলোচনা করে। নিরাপদ সবজি উৎপাদনে বারসিক তাদের উৎসাহিত করে। এভাবে বারসিক’র বীজ ও কারিগরি সহযোগিতায় তারা সবজি চাষ করেন। তাদের সবজি ভালো হয়েছে। এখন তাদের বাজার থেকে সবজি কিনতে হয় না; মাঠে উৎপাদিত সবজেই তাদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করেছে। এতে করে তাদের সবজি কেনার টাকা সাশ্রয় হয়েছে; এবং পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হয়েছে। অন্যদিকে পরিবারের চাহিদা পূরণ করার পর উদ্বৃত্ত্ব সবজি বাজারে বিক্রি করে কিছু আয়ও করতে পারছেন।